ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সুনামগঞ্জের ছাতকে তীব্র গরমের বাড়ছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিপাকে বয়স্ক, শিশু, শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে পৌর শহরে বেশি সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। অসহনীয় গরমে বয়স্ক ও শিশুরা ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছেন না। লোডশেডিংয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও অটোচালকরা পড়েছেন আরও বেশি ভোগান্তিতে। লোডশেডিংয়ের কারণে পৌর শহরে বেশি সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। দ্রুত লোডশেডিং এবং ভোগান্তির সমস্যা সমাধানের দাবী জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ছাতকে তীব্র গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। শুধু দিনে নয়, রাতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। প্রচণ্ড গরমে ঘরে বসবাস করা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছে লোডশেডিংয়ের কারণে। বিদ্যুৎ চলে গেলে ফ্যান না চলায় অসহনীয় গরমে বয়স্ক ও শিশুদের বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছেন না। লোডশেডিংয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও অটোচালকরা পড়েছেন আরও বেশি ভোগান্তিতে। রাত্রের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় গাড়িতে চার্জ দিতে না পেরে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামতে পারছেন না চালকরা। পৌর শহরে লোডশেডিংয়ের কারণে বেশি সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। পৌর শহরে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস, ব্যাংক-বিমা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যুৎ ছাড়া কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এত লোডশেডিং এবং ভোগান্তির সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবী জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা রিদওয়ান আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এই গরমে বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকায় বাচ্চাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না। আবার সকালে ঠিকমতো উঠতে না পারায় স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম বলেন, সারাদিনে কতবার বিদ্যুৎ যায়, তার হিসাব নেই! একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোনো সময় থাকে না। এক-দেড় ঘণ্টা পর এলেও কিছু সময় পর আবার চলে যায়। বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকার কারণে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
উপজেলার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী রুহুল আমিন নাদিম বলেন, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিংয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এত লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের কাজের গতি কমে গেছে।
কম্পিউটার দোকানের মালিক মঈন উদ্দিন সুমন বলেন, মাঝে মাঝে এমনও হয় এক পৃষ্ঠা টাইপ করার মাঝে দুবার বিদ্যুৎ চলে যায়।
ছাতক বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সুমন চৌধুরী জানান, ছাতকে লাফার্জ- হোলসিম সহ বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১৭ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৬-৭ মেগাওয়াট এজন্য লোডশেডিংয়ের সমস্যা হচ্ছে।
ছাতক বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আব্দুল মজিদের ল্যান্ড ফোন ও মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করলেও কল রিসিভ করেন নি তিনি।
এএমএল/এমআর