গৌরনদীতে টেক্সটাইল অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের!

প্রথম পাতা » বরিশাল » গৌরনদীতে টেক্সটাইল অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের!
সোমবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪


গৌরনদীতে টেক্সটাইল অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের!

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

অনিয়ম ও দুর্নীতির  ১৯টি অভিযোগ এনে বরিশালের গৌরনদী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবত টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির ও বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাসের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন  চালিয়ে যাচ্ছে। অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউট ক্যাম্পাসে ও বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা  বিক্ষোভ মিছিল  ও সমাবেশ করেছে। শিক্ষার্থীরা গত ২৮ আগস্ট থেকে টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষের ও ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে এ আন্দোলন করে আসছেন।
টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউটের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মেডিকেল ফি বাবদ ৩’শ টাকা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ফি বাবদ ৩’শ টাকা করে আদায় করে তা অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির আত্মসাত করেছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ, দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে সনদ আটকে দেওয়া, শিক্ষার্থীদের পরিবারকে হয়রানিসহ ১৯টি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে আমরা   সাধারণ শিক্ষার্থীরা   অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে গত ২৮ আগস্ট থেকে প্রতিদিন  ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে যাচ্ছি। ইনষ্টিটিউটের অধিকাংশ শিক্ষকরা আমাদের আন্দোলনের সাথে একত্বতা প্রকাশ করেছেন। রোববার দুপুরে ইনষ্টিটিউট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাকেন, ইনষ্টিটিউটের শিক্ষক ইনাম ফজলে রাব্বি,   মো. শাখওয়াত হোসেন,  তসলিম হোসেন খান,  সোহেল আরমান, প্রাক্তন ছাত্র আসাদুজ্জামান রিপন, ষষ্ঠ সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী উত্তম হালদার, আবির হোসেন, আরিফ হোসেন, অন্তরা আক্তার প্রমূখ।
তার (অধ্যক্ষ) বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণ শিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আন্দোলণরত শিক্ষার্থীরা আমার কাছে ১৯টি বিষয়ে জানতে চেয়েছে। তাদের প্রতিটি বিষয়ে সঠিক জবাব দিয়েছি। সকল শিক্ষার্থীকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। এরপরও ২/৩ জন শিক্ষকের ইন্দনে তারা আমার বিরুদ্ধে একদফার আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। অভিযোগগুলোর জবাব লিখিত ভাবে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দিবে তা আমি মেনে নিব।
আন্দোলণরত দশম শ্রেনীর একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধানশিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস স্কুলকে অনিয়ম-দূর্নিতীর আতুর ঘরে পরিণত করে রেখেছে। এতোদিন তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। তাই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবীতে তারা একদফার আন্দোলণ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, স্কুলে জনবল নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে দূর্নীতির সাথে জড়িত প্রধান শিক্ষক অখিল। এতোদিন সে (প্রধান শিক্ষক) আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আতাত করে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন। অভিযোগের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন।

 

 

এএসআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ০:১৪:৫৭ ● ১৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ