গলাচিপায় নলকূপ নেই খালের পানিই তাদের ভরসা!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » গলাচিপায় নলকূপ নেই খালের পানিই তাদের ভরসা!
রবিবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৪


গলাচিপায় নলকূপ নেই খালের পানিই তাদের ভরসা!

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর গলাচিপায় গভীর নলকূপের অভাবে কয়েকটি পরিবারের লোকজন খালের পানিতে তৃষ্ণা নিবারণ করার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া বাজারের দক্ষিন পাশে ১ নম্বর ওয়ার্ডে চৌদ্দকানী গ্রামে আমির হোসেন হাওলাদারের বাড়িতে ও আশেপাশে নেই গভীর নলকূপ। আমির হোসেন হাওলাদারের বাড়ি থেকে বেশ দূরে রয়েছে একটি গভীর নলকূপ। কিন্তু পথের দূরত্বের কারণে বিকল্প হিসেবে খালের পানি ফুটিয়েই তৃষ্ণা নিবারণ করতে হয় তাদের। এ এলাকায় সুপেয় পানির অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েকটি পরিবার।
আমির হোসেন জানান, বিগত কয়েক বছর যাবত আমরা পানির কষ্টে জীবন যাপন করছি, নির্বাচনে অনেক আশ্বাস দিলেও কেউ কথা রাখেনি, নিরুপায় হয়ে আছি। আমাদের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অনেক দূরে একটি টিউবওয়েল রয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে পানি আনতে গেলে অনেক সময় লাগে। তাই আমরা খালের পানি সকল কাজে ব্যবহার করি। বিগত সরকারের আমলে একাধিকবার আবেদন করেও কোন সুরহা পাই নাই। বর্তমান সরকার সকল বৈষম্য দূর করতে বদ্ধ পরিকর। তাই আমরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমাদের বাড়িতে একটি টিউবওয়েল স্থাপনের জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে আমির হোসেনের স্ত্রী সাজেদা বেগম বলেন, আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। বাসায় রান্না বান্না করি। আমাদের বাড়ি থেকে টিউবওয়েল অনেক দূরে হওয়ায় পানি আনতে যেতে পারি না। তাই খালের পানিই আমরা ব্যবহারকরি। এতে বিশুদ্ধ পানির অভাবে আমাদের বাড়িতে প্রায়ই ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় অনেকে। ঐ গ্রামের সেকান্দার মোল্লা, ইদ্রিস, বেল্লাল, ইব্রাহিম, মাসুদ, রাসেল, ফাতেমা, রাহিমা এরা বলেন, এখানে আমরা কয়েকটি পরিবার বসবাস করছি। সকলেই বিশুদ্ধ পানির অভাবে কষ্টে আছে। একটি টিউবওয়েল পেলে আমরা এলাকাবাসী নিরাপদ পানি পান করতে পারতাম। এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আলমগীর মুন্সী ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুমা বেগম বলেন, আসলেই পরিবারগুলো টিউবওয়েলের অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সরকারিভাবে একটি টিউবওয়েল পেলে তাদের এ কষ্ট দূর হবে। এ বিষয়ে সাজেদা বেগম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে লিখিত আবেদন করবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বরাদ্দ আসলে যাচাই বাছাই করে ঐ গ্রামে একটা গভীর নলকূপের ব্যবস্থা করা হবে।

এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৫:৫৫ ● ৪২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ