দেবহাটা (সাতক্ষীরা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
দেবহাটা উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম দরদির বিরুদ্ধে মানহানিকর অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে সংগঠনের অফিসিয়াল প্যাডে এ নিন্দা জানানো হয়। দরদির দপ্তরে সম্পাদক আল আমিন হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বশীল প্লাটফর্ম দরদির সদস্যবৃন্দ সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিগত ৫ জুলাই থেকে রাজপথে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলির সামনে আন্দোলন করেছে। পাশাপাশি দরদির স্থানীয় এসোসিয়েট সদস্যবৃন্দও জেলা ও উপজেলায় আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পদত্যাগের পর বিজয় মিছিল, সুধীসমাবেশ, দরদির সদস্য শহীদ আসিফের স্মরণে শহীদ বেদি নির্মাণ, কবর জিয়ারত পাশাপাশি নাশকতা ঠেকাতে সাম্প্রদায়িক সংঘাত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দরদির সদস্যরা পূর্বের ন্যায় দেবহাটা উপজেলায় গুরুতপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বলা আবশ্যক যে, দরদি বিগত ৮ বছর নানামুখী শিক্ষা সহায়তা ও সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে আসছে।
উল্লেখ্য, ক্যাম্পাসগুলোতে ব্যাপক সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ করলে, দরদির অসংখ্য সদস্য ওই সময়ে দেবহাটাতেই অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে দুঃখের বিষয় হলো, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন স্থানীয় এক অংশগ্রহণকারী আবিদ হাসান তানভীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দরদির বিরুদ্ধে মানহানিকর অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা দরদি পরিবারের সম্মানিত উপদেষ্টা ও সদস্যসহ সকলকে মর্মাহত করেছে। পাশাপাশি সে নিজেকে স্বঘোষিত দেবহাটা উপজেলার সমন্বয়ক দাবি করে ইতঃপূর্বে অসংখ্য নীতিভ্রষ্ট কাজে জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ রয়েছে। এজন্য অপপ্রচারকারী জনৈক আবিদ হাসান তানভীরের এ কার্যকলাপের জন্য দরদি পরিবার তার প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করছে।
উল্লেখ্য, তার সমন্বয়ক দাবির ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম প্রধান সমন্বক আল ইমরান ইমু’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আবিদ হাসান তানভীর নামের কাউকে চেনেন না এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলার উপজেলাগুলোর কোনো সমন্বয়ক নেই। যদি কেউ দাবি করে সেটা ভুয়া। পাশাপাশি তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলেন।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তারা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে তাদের অফিসে যেয়ে অশোভন আচারণ এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
কেই/এমআর