বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ১০ হাজার ঘরবাড়ীর ক্ষতিপূরণ দাবি

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ১০ হাজার ঘরবাড়ীর ক্ষতিপূরণ দাবি
সোমবার ● ১৫ জুলাই ২০২৪


বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ১০ হাজার ঘরবাড়ীর ক্ষতিপূরণ দাবি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশ-পাশের ১২গ্রামের ১০ হাজার পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ীর ক্ষতিপূরণের নামে হয়রানীর প্রতিবাদসহ ৬দফা দাবিতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উদ্যোগে বড়পুকুরিয়া বাজারে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সহস্রাধিক বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরম্নষ গ্রামবাসী সকাল ১১টায় থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা ও হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, উপদেষ্টা লিয়াকত আলী, সহসভাপতি রম্নহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের, ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, লিয়াকত আলী, রম্নহুল আমিন ম-ল প্রমুখ।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ভূগর্ভে মাইন বিষ্ফোরণের কারণে বিকট শব্দ ও কম্পনে হামিদপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া, বাঁশপুকুর, মথুরাপুর, বৈদ্যনাথপুর, শিবকৃষ্ণপুর, পাতিগ্রাম, পাঁচঘরিয়া, চৌহাটি, কালুপাড়া, গোপালপাড়া, কাশিয়া ডাঙ্গা ও বৈগ্রাম মোট ১২টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ীতে ফাটল ধরছে। অনেক ঘরবাড়ী ভেঙে পড়ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে। আমরা ক্ষতিপূরণের জন্য আন্দোলন করেও সুরাহ পাচ্ছি না। আমরা ক্ষতি কর্তৃপক্ষকে ৬ দফা দাবি দিয়েছে। গ্রামবাসীর ক্ষতিপূরণের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, (১) জরিপকৃত বসতবাড়ীর ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রম্নত প্রদান, (২) মসজিদ, কবরস্থানসহ অধিগ্রহণকৃত জমির বকেয়া টাকা দ্রম্নত পরিশোধ করা, (৩) জনসাধারণের চলাচলের জন্য বৈদ্যনাথপুর থেকে বৈগ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি পূর্বের মতো পাকাকরণসহ চলাচলের উপযুক্ত করা, (৪) গ্রামবাসীর সঙ্গে কয়লাখনি কর্তৃপক্ষের সম্পাদিক সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে থেকে যোগ্যতানুসারে ঘর ঘর চাকরি প্রদান, (৫) কয়লাখনি কর্তৃক সৃষ্ট পানীয়জলের সংকট দ্রম্নত নিরসন করা এবং (৬) বসবাসের অনুপযোগী পরিবারগুলোর ঘরবাড়ীসহ বসতবাড়ীর বিষয়ে স্থায়ী সমাধান করা।
তিনি আরো বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ণ না করা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাড়ে ১০ হাজার পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে খনির প্রধান গেটে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।। সংগঠনটির উপদেষ্টা ও হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক বলেন, খনির কারণে প্রায় ১যুগ ধরে ১২টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো সার্ভে করার পরেও খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নামে টালবাহানা অব্যাহত রেখেছে। খনি কর্তৃপক্ষকে বারবার বিষয়টি অবগত করলেও তারা আমলে নিচ্ছেন না। বিষয়টি দিনাজপুর জেলা প্রশাসকেও অবগত করা হয়েছে। আমি দ্রম্নত ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি। আমি গ্রামবাসীদের আন্দোলনের সাথে আছি।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, খনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়ে থাকে। এতে ঘরবাড়ীতে কিছু ফাটল দেখা দিতে পারে তবে


এসিজি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪১:৩৮ ● ৪৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ