নেছারাবাদে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেল!
প্রথম পাতা »
পিরোজপুর »
নেছারাবাদে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেল!
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার গ্রামের ৬ষড়যন্ত্রকারী। বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার গ্রামের হাসান(৩৭),আল আমিন(৪০), রহিম তালুকদার (৪৫), সফিকুল ইসলাম(২৮)আবুল হোসেন (২৫) ও মো. শাহীন(২৫) মিলে তাদের প্রতিপক্ষ একই এলাকার বাসিন্দা স্বজন মো. সিদ্দিক তালুকদারকে পূর্ব শত্রুতার জেরে মারধর করে কোমরে ৯০ পীচ ইয়াবা ট্যাবলেট ভর্তি কৌটা গুজে দিয়ে নেছারাবাদ থানার পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। শুক্রবার রাতে নেছারাবাদ উপজেলার জরুর বাড়ী বাজারে ওই ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ তথ্যদাতা মো. হাসান (৩৭) ও জনতার হাতে ধৃত হওয়া মোঃ ছিদ্দিক তালুকদারকে থানায় নিয়ে যায়।
নেছারাবাদ থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী পুলিশকে তথ্যদাতা হাসানকে গ্রেফতার করে এবং ঘটনার সাথে অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযানে নামার আগেই তারা অত্মগোপন করে। নেছারাবাদ থানার এস আই মো. গোলাম হাফেজ বাদী হয়ে ৬ জনকে নামীয় ও আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। শনিবার (১৩ জুলাই) হাসানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার গ্রামের ছিদ্দিক তালুকদারের সাথে তার ভাইয়ের ছেলে হাসান সহ অপরাপর আসামীদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকর্দ্দমা চলে আসছে। বিভিন্ন মামলায় ছিদ্দিক তালুকদার জয়ী হলেও একের পর এক মামলা চলছিল। সেকারনে ছিদ্দিক তুলুকদারকে মাদক মামলায় ফাঁসাতে এ নাটক সাজিয়েছে বলে গ্রেফতারকৃত হাসান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, গ্রেফতারকৃতদের থানায় নিয়ে আসার পর ছিদ্দিক তালুকদার জানায় তাকে ফাঁনোর চেষ্টা হচ্ছে। পরে জানতে পারি ছিদ্দিক তালুকদারের সাথে তার ভাইর ছেলে অন্যান্য চাচাত ফুফাতো ভাইদের সাথে মামলা মোকর্দ্দমা রয়েছে এবং ছিদ্দিক তালুকদারকে ফাঁসাতে এনাটক তৈরি করা হয়েছে। তাই হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত ইয়াবার নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান জব্দকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২৭ হাজার টাকার উর্ধে হবে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যহত আছে।
আরএ/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪১:০৯ ●
৬১ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)