ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সূফি আলম সোহেলের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ি কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের অবশেষে চাদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত ৮ জুলাই উপজেলার ইসলামপুর ইউপির গনেশপুর নোয়াগাও গ্রামের মৃত হাজী ফরিদ উদ্দিনের ছেলে বাবুল আহমদ বাদী হয়ে চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল সহ ২২ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। গত ১০ জুলাই রাতে জামায়াত নেতা সুফি আলম সোহেলকে প্রধান করে চাদাবাজির মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। গত ১১জুলাই বিকালে উপজেলার পৌর শহরের মন্ডলীভোগ এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুত্ত ১৩ নং আসামী ইব্রাহিম আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার ইসলামপুর ইউপির গনেশপুর ছড়ারপাড় গ্রামে তেরা মিয়ার ছেলে গত ১২ জুলাই সকালে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ৭ জুলাই রাতে ছাতক বাজার পুরাতন কাস্টম রোডস্থ মোসার্স জে।আলম এন্ড ব্রাদার্সের বেআইনী ভাবে প্রবেশ করে দাবীকৃত দশ লাখ টাকা চাদা চাদা না দেয়ায় চেয়াম্যান সুফি আলম সোহেলের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্টান ভাংচুর ও তার ক্যাশ ভেঙ্গে প্রায় তিন লাখ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ হামলায় রাহাত ও মুক্তাদিরকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে চেয়ারম্যানের লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, গত ২৯ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রকাশ্যে চেলা নদী ফুলফুলি বিলে পাথরবাহী এম,বি শুভ সম্রাট বাল্কহেড চালক আব্দুল গফ্ফারকে আটক করে তার কাছে এক লাখ টাকার চাদা দাবি করে করেন চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল। তার কথামতো চাদা না দেয়ায় নির্যাতন এমনকি টাকার বদলে মোবাইল ফোনসহ নৌকায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনাটি প্রতিবাদ করেন ব্যবসায়ি বাবুল আহমদ। এই বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের বিষয়টি চেয়ারম্যান জানতে পেয়ে বাবুলের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান সুফি আলম সুহেল তার বিরুদ্ধে আনিত।অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তারপরও আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হওয়া দুঃখজনক। এটা মিথ্যা-বানোয়াট বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এব্যাপারে তদন্তকারী এস আই শফিকুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকালে এজহারভুক্ত ইব্রাহিম আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চেয়ারম্যান সূফি আলম সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় হামলাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। তবে চাদাবাজি মামলায় একজন আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে গত ১২ জুলাই সকালে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এএমএল/এমআর