কাউখালী(পিরোজপুর)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের কাউখালীতে যতই দিন যাচ্ছে পেঁয়াজ.কাচাঁ মরিচসহ সবজির দাম যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ঠেকানো যাচ্ছে না এর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা। বেগুনসহ প্রায় সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, আগুন লেগে গেছে বাজারে। শাকের দামও বাড়ছে। ২০ টাকায় কোনো শাকের আঁটি পাওয়া যায় না। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যায় দেশের বিভিন্ন এলাকা ভেসে গেছে। সরবরাহ কমে গেছে। এ জন্য দাম চড়া।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা গেছে, কাউখালীর সাপ্তাহিক হাটে সবজির দাম অনেক চড়া। বাজারে পেঁযাজ ১১০ টাকা কেজি, রসুন ২২০ টাকা, আদা ৪৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, এ ছাড়া আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও কাকরোল ৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা,পেপে ৫০টাকা,শসা ৭০টাকা, করলা ১০০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা কেজি,মিস্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বড় সাইজের একটি চালকুমড়া ৫০থেকে ৬০ টাকা, কচুরা লতা ৮০ টাকা কেজি, কচুর মুখি ৯০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা সুমন বলেন, সবজির বাজার স্থিতিশীল নয়, কোরবানির পর অসময়ের বন্যা, অতিবৃষ্টিতে সবজি খেতের ক্ষতি হওয়ায়, সবজির বাজার বেসামাল হয়ে পড়েছে। আদা, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচের দাম বেড়েই চলেছে। আমরা কি করব, আমরা ছোট ব্যবসায়ী মোকামে জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের কিছু করার থাকে না।’
বাজারে সবজি কিনতে আসা স্কুলশিক্ষক মনির হোসেন বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচে দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। তিনি আরও বলেন, এভাবে বাজার ব্যবস্থাপনা চলতে পারে না। অবশ্যই বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বাজার বিপণনব্যবস্থা সঠিকভাবে করা উচিত।’
রিকশাচালক কালাম বলেন, মাছ, মাংস তো চোখেই দেখি না। সবজি দিয়ে ভাত খাব তার উপায় নেই। সবজির বাজারে যেন আগুন লেগেছে। দেখার কেউ নেই। আমাদের মতো গরিব মানুষের লবণ দিয়ে ভাত খাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
মোজাম্মেল হোসেন নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, ‘দাম এতটা বেড়ে যাওয়ার যুক্তিসংগত কারণ নেই। এর পেছনে খুচরাসহ পাইকারি বিক্রেতাদের কারসাজি রয়েছে। প্রতিবারই তারা কীভাবে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটা যায় সেই ধান্দা-ফিকিরে থাকেন।’
আরএইচআর/এমআর