বরিশাল সাগরকন্যা অফিস॥
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে দিনে দুপুরে হামলা-লুটপাট করে জমি দখলচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০৫ বছরের এক বৃদ্ধা নারীসহ অন্তত তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদেরকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় একটি ঘর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে সেখানে মাটি কেটে গাছ লাগিয়েছে দখলচেষ্টাকারীরা। এ ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার নং ১৪,৫/৭/২৪ইং।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৫ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল এই হামলা চালায়। তারা একটি ঘর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে তার মধ্যে থাকা টাকা ও মালামাল লুট করে। সেখানে থাকা ১০৫ বছরের বৃদ্ধা নারীসহ তিন নারীকে বেদম মারধরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পরে ঘরের ভিটার মাটি কেটে ফেলে সেখানে ফলজ গাছ লাগিয়ে দেয় হামলাকারীরা। উপায়ান্তর না পেয়ে ভুক্তভোগীরা বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশের একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে পুলিশ যাওয়ার খবরে হামলাকারীরা সটকে পরে। এই হামলায় সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেয় মৃত রকমান গাজীর পুত্র তোফাজ্জল গাজী (৬০), সাইদুল গাজীর পুত্র শাহীন গাজী (৪০), মৃত মোজাম্মেল গাজীর পুত্র আল আমীন গাজী (৪০), তোফাজ্জেল গাজীর পুত্র ফয়সাল গাজী (৩০), মজলু গাজী (৬৫), বজলু গাজী (৬০), ফজলু গাজী (৫০), মামুন গাজী, নিলুফা, নুরজাহানসহ আরও ১০/১২ জন। মামলা সূত্রে আরও জানা গেছে, চরমোনাই গ্রামের মৃত মকবুল সিকদারের স্ত্রী মমতাজ বেগম ৩২ শতাংশ জমির মালিক হয়েছেন ওয়ারিস সূত্রে। সেই জমিতে দৃস্টি পড়ে প্রতিবেশী মৃত রকমান গাজীর পুত্র তোফাজ্জেল গাজী গংদের। ইতোপূর্বে একাধিকবার দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা করেছে তারা। সেই মামলা চলমান অবস্থায় নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে এবার ফিল্মি স্টাইলে দখলের চেষ্টা করলো।
মামলার বাদী মমতাজ বেগম বলেন, ফিল্মি স্টাইলে দিনে দুপুরে তারা আমাদের ঘরটি ভেঙ্গে লুটপাট চালিয়েছে। আমাদেরকে মারধর করেছে। আমাদের স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে গেছে। এই যুগে প্রকাশ্যদিবালোকে এমন ঘটনা খুবই বিরল। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মামলার ২নং আসামী শাহীন গাজী ঘর ভেঙ্গে গাছ রোপণের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা তাদের ঘরটি ভেঙ্গে সেখানে গাছ লাগিয়েছি, মারধর কিংবা লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় এজাহার দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।