দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দুমকিতে পদবঞ্চিতদের হামলায় সরকারি জনতা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের অন্ততঃ ৫নেতা-কর্মী জখম হয়েছে। আহতের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো-আবু মুছা (১৯), আরাফাত (১৯), ইমরান (১৮), সাইফুল (১৯), শাকিল (১৯), শুভ (২২)। এ ঘটনায় সুনাম ক্ষুন্ন ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সদ্য ঘোষিত সরকারি জনতা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবু সাইদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সুধা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাঈমকে তাৎক্ষণিক দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, চলতি সেসনে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী ভর্তি বিষয় নিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সানাউল্লা হিরা ও সাধারণ সম্পাদক মঈন সিকদার গতকাল (বুধবার)দুপুরে অধ্যক্ষের অফিসে আলোচনা করতে যায়। এসময় পদবঞ্চিত নেতা, কলেজ শাখার সহ সভাপতি আবু সাইদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সুধা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাঈমের নেতৃত্বে ১৫/২০জনের একটি বাহিনী অতর্কিত অধ্যক্ষের অফিসে ঢুকে এলোপাথারী হামলা চালায় এবং ছাত্রলীগের ৫নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা ওইসময় কলেজ অফিসের আসবাবপত্র, কম্পিউটার ভাংচুর করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে পৌছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এবিষয়ে দুমকি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সহিদুল ইসলাম সহিদ বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা। ছাত্রলীগে উচ্ছৃঙ্খলতার স্থান নেই। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সুনাম ক্ষুন্নের দায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এদিকে সরকারি জনতা কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের ওপর আকস্মিক হামলা ও ৫নেতা-কর্মীকে জখমের ঘটনায় জড়িত থাকায় সহ সভাপতি আবু সাইদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সুধা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাঈম নামের তিন ছাত্রনেতাকে সংগঠন থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তানভীন হাসান আরিফ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই তিনজনকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। অভিযুক্ত সাঈদ ও সুধার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, জনতা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সহ সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়া হলেও আবু সাঈদ ও আবু সুফিয়ান সুধার প্রত্যাশিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্ব না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন। আর এ ক্ষোভের কারণেই সহিংসতার ঘটনাটি ঘটেছে।
এমআর
