আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ব্রীজ ভেঙ্গে বিয়ের কনের পক্ষের ৯ জন মারা যাওয়ায় বর ডাঃ সোহাগ ও কনে হুমায়রার বাড়ীতে শোকের মাতম বইছে। বরের বাড়ীতে সুনসান নিরবতা। কনের বাড়ীতে কান্নার রোল বইছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা কাউনিয়া ই্ব্রাহিম একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহ মনিরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাহমুদের ছেলে ডাঃ সোহাগের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার ওই কনেকে বরের বাড়ী তুলে আনেন। শনিবার মেয়ের পক্ষের লোকজন বরের বাড়ীতে মাইক্রো এবং অটো গাড়ীতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হলদিয়া ব্রীজ পাড় হওয়ার সময় ব্রীজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে যায়। এতে মাইক্রোবাস ও অটো গাড়ী নদীতে পড়ে যায়। অটোতে থাকা যাত্রীরা সকলে সাতরে কিনারে উঠতে পারলেও মাইক্রোবাসের যাত্রীরা নদীতে তলিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা ওই মাইক্রোতে থাকা লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী নাশির উদ্দিন। ততক্ষণে মাইক্রোবাসে থাকা কনে পক্ষের ৯ যাত্রী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন রুবিয়া (৪৫), রাইতি (২২), ফাতেমা (৫৫), জাকিয়া (৩৫), রুকাইয়াত ইসলাম (৪), তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১৪), ঋধি (৪) ও শাহনাজ আক্তার রুবি বেগম (৩৫)। এদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার বাড়ী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। অপর নিহত ৭ জনের বাড়ী মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোকরার চর গ্রামের বাসিন্দা। এরা কনে হুমায়রার মামা বাড়ীর আত্মীয়স্বজন। এমন ঘটনায় বর ডাঃ সোহাগ ও কনের হুমায়রার বাড়ীতে শোকের মাতম বইছে। শনিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বর ডাঃ সোহাগের বাড়ীতে সুনসান নিরবতা। ডেক্সিভরা খাবার রয়েছে। মানুষজন নেই। কনের বাড়ীতে বইছে কান্নার মাতম।
বরের বাবা কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেলিম মাহমুদ বলেন, এমন ঘটনার আমি হতভম্ব। কনে পক্ষের লোকজনের জন্য সকল আয়োজন ছিল কিন্তু একটি ফোনে সকল কিছু ভেস্তে চলে গেল।
কনের বাবা মাসুম বিল্লাহ মনির বলেন, আমার কিছুই বলার নেই। আমি শ্বশুর বাড়ীর মানুষকে কি জবাব দেব? আল্লায় কেন আমার উপরে এতো বড় বিপদ দিল?
এমএইচকে/এমআর