রেমালের তান্ডবে আমতলীতে ১১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ

প্রথম পাতা » বরগুনা » রেমালের তান্ডবে আমতলীতে ১১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ
বুধবার ● ২৯ মে ২০২৪


রেমালের তান্ডবে আমতলীতে ১১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে আমতলী উপজেলার ১১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ড. শহীদুল ইসলাম কলেজ, আমতলী এমএউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গোজখালী বোর্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনসহ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্থ এবং ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশিংক বিধ্বস্থ হয়েছে। ভবন ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান ব্যবত হচ্ছে। দ্রুত এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন সংশিষ্ঠরা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলায় ১৫৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩২ টি মাদ্রাসা রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ড. শহীদুল ইসলাম কলেজ, আমতলী এমএউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গোজখালী বোর্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনসহ ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্থ এবং কুকুয়া গোজখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুকয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশিংক বিধ্বস্থ হয়েছে। ভবন ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান ব্যবত হচ্ছে। দ্রুত এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন সংশিষ্ঠরা।
বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে ড. শহীদুল ইসলাম কলেজ ও এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন একেবারে বিধ্বস্থ হয়ে গেছে। ড. শহীদুল ইসলাম কলেজের তিনটি টিন সেডের ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এম ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনের উপরে গাছ পড়ে বিধ্বস্থ হয়েছে।
আমতলী এমএউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম কবির করেন , বন্যায় ভবনের উপড়ে গাছ পড়ে ভবনটি বিধস্থ হয়ে গেছে। নতুন ভবন নির্মাণ না করা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পাঠদান করানো সম্ভবনা না।
ড. শহীদুল ইসলাম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, কলেজের তিনটি ভবনই বন্যা ভেঙ্গে গেছে। নতুন ভাবে ভবন না তুলে পাঠদান করানো যাবে না। এ কলেজের ভবন নিমাণের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সফিউল আলম বলেন, উপজেলার ১০৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ বিদ্যালয়গুলো  দ্রুত সংস্কার করা না হলে পাঠদান ব্যবত হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিধ্বস্থ বিদ্যালয়ের তালিকা করেছি। বরাদ্দ পেলে পুনবাসন করা হবে।

 

 

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫২:৪৫ ● ৬৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ