আমতলীতে মাছ চাষিদের ক্ষতি ৫৭কোটি টাকা!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে মাছ চাষিদের ক্ষতি ৫৭কোটি টাকা!
বুধবার ● ২৯ মে ২০২৪


আমতলীতে মাছ চাষিদের ক্ষতি ৫৭কোটি টাকা!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ও অতি বৃষ্টিতে মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। এতে ৫৭ কোটি টাকা লোকসান হবে। ফলে মাছ চাষিরা একেবারে পথে বসেছে।  এ ক্ষতি পোষাতে মাছ চাষিরা সরকারের সহায়তার দাবী করেছেন।
আমতলী উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, এ উপজেলার ৭ হাজার দুই’শ ১৬ টি পুকুর ও ঘের আছে। ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুল পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাহিরের সমুদয় ঘের তলিয়ে গেছে। অপর দিকে পশুবুনিয়া, পশ্চিশ সোনাখালী, আঙ্গুলকাটা, আমড়াগাছিয়া ও ইসলামপুর বাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি এবং অতিভারী বর্ষণে আড়পাঙ্গাশিয়া, আমতলী সদর, আঠারোগাছিয়া, গুলিশাখালী, চাওড়া, কুকয়া এবং হলদিয়া ইউনিয়ন তলিয়ে গেছে।  ওই সকল ইউনিয়নের সমুদয় পুকুর ও ঘের তলিয়ে গেছে। এতে উপজেলার ৭ হাজার ২’শ ১৬ জন মৎস্য চাষি একেবারে নিস্ব হয়ে গিয়েছে। তাদের পুরনায় আবার নতুন করে মৎস্য পুনবাসন করতে হবে। এতে পথে বসেছের উপজেলার সকল মৎস্য চাষি। উপজেলা মৎস্য অফিসের হিসেব মতে এ খাতে ৫৭ কোট টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কাউনিয়া গ্রামের মৎস্য চাষি জিয়া উদ্দিন জুয়েল বলেন,  পুকুরে অন্তত পাঁচ লক্ষ টাকার মাছ ছিল। বন্যা পানি বৃদ্ধি পেয়ে সব মাছ ফেসে গেছে।
মৎস্য চাষি হিমেল মিয়া বলেন, দুইটি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত আমার সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মাইঠা গ্রামের কাদের খন্দকার ও বাবুল খন্দকার বলেন, সাড়ে সাত একর জমিতে সাদা মাছ চাষ করেছি। মাছ বিক্রির উপযোগী হয়েছিল কিন্তু বন্যার সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এখন পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান বলেন, ১৫ একরের ৪ টি ঘেরে সাদা মাছ চাষ করেছি।  বন্যায় সমুদয় মাছ ফেসে গেছে। এতে আমার ১৫ লক্ষ টাকার লোকসান হবে।
আমতলী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলায় ৭ হাজার ২’শ ১৬ টি পুকুর ও ঘের ছিল। সমুদয় পুকুর ও ঘের তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত ৫৭ কোট টাকার ক্ষতি হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বরাদ্দ পেলে মৎস্য চাষিদের সহায়তা করা হবে।

 

 

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪০:৩১ ● ৯১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ