আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে আমতলী গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন গাজীপুর খালের ব্রীজের সেন্টারিং স্্েরাতে ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় এ অবস্থায় হয়েছে। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসাী।
জানাগেছে, ২০১৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আমতলী উপজেলার গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন গাজীপুর খালে গাডার ব্রীজ নির্মাণে দরপত্র আহবান করে। সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে ওই কাজ পায় পটুয়াখালীর তামিম এন্টার প্রাইজের ঠিকাদার দিপু মিয়া। ২০২০ সালে ওই ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। কিন্তু শুরুতেই নি¤œমাসের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ব্রীজ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার কাজ করছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে ব্রীজের মাসখানের স্লাপ নির্মাণ করতে সেন্টারিং করে। ওই সেন্টারিং ভেতরে নি¤œমানের রড ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে শনিবার জোয়ারের স্্েরাতে ওই সেন্টারিং এবং রড ভেঙ্গে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ঠিকাদার শুরুতেই নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করে। এ ব্রীজের বিষয়ে বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছি কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে ব্রীজের মাঝখানের স্লপ করতে নি¤œমানের লোহার রড দেয়া হয়েছে। ওই লোহার রড় ও সেন্টারিং ¯্রােতে ভেঙ্গে গেছে।
শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ব্রীজের দুই পাড়ের গাডার থেকে মাধখানের স্লপ করতে সেন্টারিং করা হয়েছে। ওই সেন্টারিংএর মধ্যে নিন্মমানের লোহার রড বাঁধা হয়েছে। কিন্তু ¯্রােতে ওই সেন্টারিং বাধা লোহায় রড ভেঙ্গে গেছে।
ঠিকাদার দিপু মিয়া ব্রীজে নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, কাজ করতে গেলে সমস্যা হতেই পারে। ¯্রােতে সেন্টারিং ভেঙ্গে গেছে। এতে আমারই লোকসান হবে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মুঠোফোনে (০১৭৫৬৫৮৫২৯৫) এ বিষয়ে জানতে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে লোক পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দুই এক দিনের মধ্যেই আমি ব্রীজ এলাকা পরিদর্শণ করবো। তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এমএইচকে/এমআর