কলাপাড়ায় ৩২৭ পরিবারের দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে উধাও প্রতারকচক্র

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় ৩২৭ পরিবারের দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে উধাও প্রতারকচক্র
মঙ্গলবার ● ১৪ মে ২০২৪


কলাপাড়ায় ৩২৭ পরিবারের দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে উধাও প্রতারকচক্র

মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) অফিস॥

১৬ পিস মুরগী, মুরগী পালনের একটি খোপ (ঘর) ও সঙ্গে তিন মাসের খাবার দেওয়ার কথা বলে তিন শতাধিক পরিবারের কাছ থেকে একটি চক্র পাঁচ শ’ টাকা করে দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার মম্বিপাড়া, মুসল্লীয়াবাদ, গঙ্গামতি, দোভাষীপাড়া, আজিমপুর ও মাইটভাঙ্গা গ্রামের এসব পরিবারের নারী সদস্যদের কাছ থেকে এ পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পল্লীগ্রাম মুরগী ফার্ম এন্ড হ্যাচারী নামের একটি সংস্থার লিফলেট দেখিয়ে এ টাকা নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী-পুরুষরা শুধুমাত্র আব্দুস সত্তার নামের এক লোক এই টাকা নেওয়ার কথা বলতে পারেন। গত ৪ মে এই চক্র গ্রামে গ্রামে ঢুকে  ৩০-৩৫ জন নারীদের জড়ো করে সমিতি গঠনের নাম করে এই টাকা হাতিয়ে নেয়। ১২ মে তাঁদেরকে মুরগীসহ খোপ এবং খাবার সামগ্রী বিতরনের কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে ওই ফার্মের নম্বর বন্ধ পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি অবগত করেন।
মম্বিপাড়া গ্রামের জেলে হাবিবুর রহমান জানান, ৪ মে বেলা ১১টার দিকে জনৈক সত্তার নামের এক ব্যক্তি তার এক সহযোগীকে নিয়ে পল্লীগ্রাম মুরগী ফার্মের লিফলেট দেখিয়ে মন্নান মিয়ার বাড়িতে আশপাশের নারীদের জড়ো করেন। সেখানে উঠান বৈঠক করে সকলকে মুরগী, মুরগী পালনের খোপ এবং তিন মাসের খাবার দিবেন বলে জানায়। এজন্য প্রত্যেককে প্রথম দফায় পাঁচ শ’ করে টাকা দিতে হবে। এসময় রিনা বেগম নামের একজনকে তাৎক্ষণিক ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের পাঁচটি মুরগী দেয়া হয়। বাকিদের কাছ থেকে পাঁচ শ’ করে টাকা হাতিয়ে নেয় এবং বলা হয় ১১-১২ তারিখে বাকিদের মুরগী এবং খোপসহ খাবার সামগ্রী দেওয়া হবে। এরপর থেকে জনৈক সত্তার ও তার কথিত ফার্মের নম্বর পর্যন্ত বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পল্লী গ্রাম মুরগী ফার্মের লিফলেটে লেখা রয়েছে প্রোঃ সালমা খাতুন। ঠিকানা বাধুরতলা, রাজাপুর, ঝালকাঠি।
প্রতারিত জেলেবধূ রূমা বেগম জানান, তাদেরকে মুরগীসহ খাবার দেওয়ার কথা বলে ওই লোক পাঁচ শ’ করে টাকা নিয়েছে। এখন মুরগী দেওয়া তো দুরের কথা তাদের ফার্মের মোবাইল নম্বর পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। এরা সবাই প্রতারণার কবলে পড়ছেন বলে দাবি করেন। এসব ভূক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যমতে ছয় গ্রামের প্রায় ৩২৭ পরিবারের নারীদের কাছ থেকে এভাবে পাঁচ শ’ করে টাকা নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পল্লীগ্রাম মুরগী ফার্ম এন্ড হ্যাচারীর দেওয়া লিফলেটের তিনটি নম্বরে মোবাইল করে কোনটি সচল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে এসব সাধারণ সহজ-সরল মানুষগুলো প্রতারণার কবলে পড়েছেন বলে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তার এ ঘটনার প্রতিকার চেয়েছেন। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, তার কাছে এক ভুক্তভোগী মোবাইলে বিষয়টি জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।

 

 

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ০:১৪:১২ ● ১৬২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ