গলাচিপা(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রভাবশালী একটি পক্ষ পৈতৃক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করায় নিস্ব হয়ে পড়েছে ভূক্তভোগী একটি নিরীহ পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন চরখালীর শ্রীনাথ বাজারে। ভূক্তভোগী পরিবার হচ্ছেন শ্রীনাথ বাজারের মৃত. মনিন্দ্র মিত্রের ছেলে নিরঞ্জন মিত্র (৮৩) এর পরিবার। অসহায় নিরঞ্জন মিত্র অভিযোগ করে জানান, তার ঠাকুর দাদার বাবার নাম কৃষ্ণরাম দাস (তালই) প্রায় ১৮একর সম্পত্তি রেখে মারা যান। তার ওয়ারিশ হিসেবে এক ছেলে (ঠাকুর দাদা) উক্ত সম্পত্তির মালিক ছিলেন মহিম মিত্র। তার ওয়ারিশ ছিলেন বাবা মনিন্দ্র মিত্র। বাবা একমাত্র ওয়ারিশ হিসেবে তিনি উক্ত সম্পত্তির প্রকৃত মালিক। তিনি ধর্ম সাধনায় দীর্ঘ বছর বাড়িতে না থাকার সুযোগে এলাকার প্রভাবশালীরা ওই সম্পত্তি ভাগ বণ্টন করে জোর পূর্বক দখল করে প্রভাবশালীরা বসবাস করছে এবং ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট করে তাদের জমির ভূয়া মালিক সেজেছেন। প্রকৃত ওয়ারিশ হয়েও পরিবারটি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত। পৈত্রিক জমিতে ফিরে আসলেও প্রভাবশালীদের কারণে এখন পরিবারটি এখন পথের ফকির। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় তিনি আরো জানান, বোয়ালিয়া মৌজার ১২১নং জেএল এর৪১৭ নং খতিয়ানের ৭টি দাগে৪ একর ৮৬ শতক, ৪১৪ নং খতিয়ানের ৪টি দাগে৩ একর ৯৯ শতক,৪১৯ নং খতিয়ানের ২টি দাগে৩ একর ৩৩ শতক,৪১৫ নং খতিয়ানের ৩টি দাগে১ একর ৬৬ শতক,৪১৬ নং খতিয়ানের ৫টি দাগে১ একর ৮৯ শতক এবং ৪১৮ নং খতিয়ানের ১টি দাগে৩৫ শতক জমির মালিক তিনি। সমস্ত জমি প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে। পরিবারটি তাদের জমি ফেরত পেতে চায়। তিনি প্রশাসন থেকে শুরু করে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে শ্রীনাথ বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম ও এমাদুল জানান, নিরঞ্জন মিত্র গরিব মানুষ। তার বাব-দাদার এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আজ সে পথের ভিখারী। প্রভাবশালীরা তার জায়গা নামে বেনামে ভোগ দখল করে খাচ্ছে। আমরা চাই প্রকৃত মালিক হিসেবে নিরঞ্জন মিত্র ও তার পরিবার যেন এই জমি ভোগ দখল করে শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নিরঞ্জন মিত্র একজন অসহায় নিঃস্ব মানুষ। শ্রীনাথ বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান করে এখন সংসার চালাচ্ছে। তার বাব-দাদার অনেক সম্পত্তি থাকলেও সেখানে তিনি যেতে পারছেন না। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু জানান, আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত আবেদন পেলে আমরা সালিশের উদ্যোগ নিতে পারি।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. ফেরদৌস আলম খান বলেন, জায়গা-জমির বিষয়গুলো আদালত বোঝেন। আদালতের নির্দেশনা পেলে আইনগত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এসডি/এমআর