আমতলীতে মহাসড়কে সাপ্তাহিক হাটে যানজট!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে মহাসড়কে সাপ্তাহিক হাটে যানজট!
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪


আমতলীতে মহাসড়কে সাপ্তাহিক হাটে যানজট!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী  একে স্কুল পয়েন্টে বুধবার সাপ্তাহিক হাট বসেছে। সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত এ সাপ্তাহিক হাট বসানো বন্ধের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের ঈদগাহ ময়দান সংলগ্ন স্থানে সাপ্তাহিক হাটে গত ৫ বছর ধরে মুদি মনোহরদি, কাঁচা বাজার ও মাছের শতাধিক দোকান বসে আসছে। কোন নোটিশ ছাড়াই সাপ্তাহিক হাটে দোকান বসা বন্ধ করে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ।
ওই দোকানগুলে বুধবার পটুয়াখালী -কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী একে স্কুল পয়েন্টে বসে। এতে ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এতে মহা বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। ক্রেতারা মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালামাল ক্রয় করছেন।  দ্রুত মহাসড়কে হাট বসানো বন্ধের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, কোন নোটিশ ছাড়াই পৌর কর্তৃপক্ষ ঈদগাহ ময়দান সংলগ্ন হাট বন্ধ করে দিয়ে মহাসড়কের পাশে সাপ্তাহিক হাট বসিয়ে দিয়েছেন। এতে আমাদের বেশ সমস্যা হচ্ছে। কোন সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটে কে যানে?
মুদি ব্যবসায়ী মাকসুদ ও কবির বলেন, আমরা দুরের মানুষ। ভাসমান ব্যবসা করি। কর্তৃপক্ষ যেখানে বসাবেন সেখানেই বসতে হবে। ক্রেতারা মহাসড়কের পাশে জীবনের ঝুঁকি দাড়িয়ে মালামাল ক্রয় করছে। আমরা আগের স্থানেই ভালো ছিলাম।
গাড়ী চালক ইব্রাহিম বলেন, হঠাৎ করে মহাসড়কে হাট বসায় বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এতোটা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে গাড়ী চালানো খুবই সমস্যা। তিনি আরো বলেন, একেতো চিকন রাস্তা তারপর দুই পাশে দোকান বসেছে। মানুষ সড়কের ওপরে এপাড় ওপাড় করছে। এতে কখন কি দুর্ঘটনা ঘটে যায় আল্লাহ যানে?
নারী ক্রেতা তহমিনা বলেন, মহাসড়কের পাশে হাট বসায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালামাল ক্রয় করতে হচ্ছে। দ্রুত মহাসড়কের পাশ থেকে হাট বসানো বন্ধের দাবী জানান তিনি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, মহাসড়কের পাশে কোন ক্রমেই হাট বসতে পারবে না। দ্রুত হাট বসানো বন্ধ করা হবে।

 

 

 

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:১২:০৪ ● ১৭৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ