সংবাদ প্রকাশের জেরতালতলীতে দু’সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার মামলা!
প্রথম পাতা »
গণমাধ্যম »
সংবাদ প্রকাশের জেরতালতলীতে দু’সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার মামলা!
আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের সংবাদ প্রকাশের জেরে উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নাঈমসহ ১২ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করা হয়েছে। আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়া সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠ। দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
জানাগেছে, তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু এক তরুনীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনা বিভিন্ন জাতীয় প্রত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরপরই গত ১৬ এপ্রিল তালতলী ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত করে বরগুনা জেলা কমিটি।
এতে ক্ষুব্দ হন ছাত্রলীগ নেতা মিঠু। পরে তিনি গত ১৮ এপ্রিল বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে তালতলী উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নাঈমসহ ১২ জন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তালতলী থানার ওসিকে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই মামলার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ ও ওই সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার সুনাম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ ওই মামলার স্বাক্ষীরা এক তরুনীর আপত্তিকর ভিভিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে এ ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে মিঠু আমাকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমি তাদের কথা না শুনে সংবাদ প্রকাশ করি, সেই আক্রোশে আমাদের নামে সাইবার আইনে মামলা করেছে।
মামলার বাদী ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু বলেন, আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করে সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়ায় মামলা করেছি।
তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম খাঁন বলেন, মামলার বিষয়ে আমি এখনো কিছু বলতে পারনো না। মামলার নথিপত্র পেলে প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৮:১৯ ●
৩০ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)