চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলার আহম্মদপুর ও আসলামপুর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণ নিয়ে নয় ছয়ের অভিযোগে ২ ট্যাগ অফিসার ও ৩ ডিলারকে শোকজ করা হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে চরফ্যাশন ইউএনও নওরীন হক খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার দুপুরে সরেজমিন আহম্মদপুর চৌমহনী বাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ডিলার আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ইউএনও নওরীন হক ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। ওই সময় স্থানীয় গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আমির হোসেনকে শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। চাল ডিলার মো, আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে তদন্তকমিটি ঘটনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে আসলামপুর ইউনিয়ন আওমীলীগের সভাপতি নুরে আলম মাষ্টারে ছোট ভাই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্বাস উদ্দিনের রিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীল চাল বিতরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও চাল কম দেয়ার অভিযোগে ট্যাগ অফিসার মো. মাহমুদ ও ডিলার আব্বাস উদ্দিনকে কারণ দর্শানের নোটিশ দেয়া করা হয়েছে। ইউএন নওরীন হক জানান, তদন্ত রিপোর্ট সন্তষজনক না হলে অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণ ডিলার রিপন চাল বিতরনের সময় ৪৫০টাকার স্থলে ৫শ টাকা এবং কার্ডের বাবদ ৫০টাকা সহ মোট ৫৫০টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহক সাকিল ও বাদল এমন অভিযোগ সরাসরি করেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মো. আবু বক্বর ছিদ্দিক অবহিত করা হলে তিনি জানান, ডিলার রিপনকে শোকজ করা হবে এবং জবাব সন্তষজনক উত্তর না পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আহম্মপুর ডিলার আবুল হাসেম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণে সাড়ে ৪শ টাকার স্থলে ৫শ টাকা নেয়া ঠিক হয়নি তার জন্যে আমি ক্ষমা চাই।
আহম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম বলেন, আবুল হাসেম আমার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদে থাকায় ২০/২৫ টি কার্ড স্ব-নামে বেনামে রেখে বিক্রি করে এতে প্রকৃত সুবিধাভোগিরা চাল পাচ্ছেনা নির্ধারিত মূল্যে থেকেও অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমার সহযোগি সংগঠন যুবলীগের সভাপতি হওয়ায় কিছু বলতে পারিনা।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মো. আবু বক্বর ছিদ্দিক বলেন, ইতি পূর্বে আসলামপুর বহদ্দারহাট চাল বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ট্যাগ অফিসার ও ডিলারকে শোকজ করা হয়েছে। শনিবার আহম্মদপুর ট্যাগ অফিসার ও ডিলার এবং এওয়াজপুর ডিলার রিপনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হবে।
এই ব্যপারে ইউএনও নওরীন হক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিপূর্বে আসলামপুর বহদ্দারহাটের ট্যাগ অফিসার মো. মাহমুদ, ডিলার আব্বাস উদ্দিনকে ১৫৯স্মারকে ৩দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। আরো ১জন ট্যাগ অফিসার ও ২জন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা ছিদ্দিক সাহেবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডিলার আবুল হাসেমের চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এএইচ/এমআর