আমতলীতে নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষে আহত-২০

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষে আহত-২০
রবিবার ● ১০ মার্চ ২০২৪


আমতলীতে নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষে আহত-২০

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

আমতলী পৌরসভা নির্বাচনী জেরধরে মোবাইল প্রতিক ও হ্যাঙ্গার প্রতিকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের আমতলী ও বরিশাল শেবাচিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার সকালে আমতলী পৌরশহরের নীচকাটাএলাকায়।
জানাগেছে, আমতলী পৌরসভানির্বাচনে মোাবইল প্রতিকের মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থক সবুজ খাঁন ও তার পরিবারের লোকজন আরেক হ্যাঙ্কার প্রতিকের মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল খাঁনের সমর্থক রাসেদ খাঁন ও তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে নির্বাচনী জয়-পরাজয় নিয়ে শনিবার রাতে কথার কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সবুজ খাঁন ও তার লোকজন রাসেদ খাঁনের বাড়ীতে হামলা করে ঘর ও দুইটি অটোগাড়ী ভাংচুর করে বলে দাবী রাসেদ খাঁনের। এ ঘটনার আধাঘন্টা পরে রাসেদ খাঁন তার লোকজন নিয়ে সবুজ খাঁনের লোকজনের ওপর হামলা চালায় এমন দাবী সবুজ খানের চাচা নাজমুল খানের। এ নিয়ে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুইপক্ষের নারী পুরুষসহ অন্তত ২০ জনআহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুইপক্ষের আহত শহীদুল খাঁন, রেহেনা, ইলিয়াস, লাইজু, জাকির খাঁন, লিজা, খাদিজা, সালেহা, বশির খাঁন, সাফিয়া, নাজমুল খাঁন, নুর চেহারা, রিজিয়া, রাসেদ ও রবিন খাঁনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক গুরুতর আহত ইলিয়াস, লাইজু, জাকির খাঁন, বশির খাঁন, শহীদুল ও রেহেনাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত নাজমুল খাঁন বলেন, আমরা সবাই একই বংশের লোক। নির্বাচনী জেরধরে রাসেদ খাঁন ও তার লোকজন আমাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।
রাসেদ খাঁন বলেন, নির্বাচনে জয়ী হয়েই সবুজ খাঁন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। রবিবার সকালে সবুজের নেতৃত্বে তার লোকজন আমার ঘর ও দুইটি অটোগাড়ী ভাংচুর করেছে। আমরা এতে বাঁধা দিলে আমাকে ও  আমার বাবা মাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেরীন আশ্রাফ বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ, শনিবার আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে মোবাইল প্রতিকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান জয়লাভ করে। হ্যাঙ্গার প্রতিক নিয়ে নাজমুল আহসান খান হেরে যায়।

 

 

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৭:৫৫ ● ৬৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ