পটুয়াখালীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পটুয়াখালীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা
বৃহস্পতিবার ● ৭ মার্চ ২০২৪


পটুয়াখালীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা

পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে পটুয়াখালীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যামাগার মোর সংলগ্ন মুর‌্যালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার, কলাপাড়ায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর মুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পটুয়াখালী-৪ অঅসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী মহিবাবুর রহমান। পরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আওয়ামীলীগের অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতি অংগসংগঠনের হাজারো মানুষ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে জেলা এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়, সরকারী ও  বেসরকারী অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। এছাড়াও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
একই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ. দা.) প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের বৈশ্বিক তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে বলেন, এটি একটি কালোত্তীর্ণ ভাষণ। এই ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এটি যুগে যুগে বিশ্বের সকল বঞ্চিত, অবহেলিত ও স্বাধীনতাকামী জাতিগুলোকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে। এ ভাষণ সব দেশ, জাতি ও সম্প্রদায়ের জন্য প্রাসঙ্গিক। এ কারণেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালে ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড” রেজিস্টারে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আঠারো মিনিটের বক্তব্যে তিনি বাঙ্গালীর স্বাধীনতার সারমর্ম বলেছিলেন যা তার পূর্ব নির্ধারিত বা লিখিত ভাষণ ছিল না। এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এ ভাষণ আজ বিশ্ব স্বীকৃত। এই ভাষণের তাৎপর্য অনুধাবন করে গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ, লালন ও বিকাশ ঘটানোর জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

জেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১০:২১ ● ৭৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ