আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ছয় ডামি প্রার্থী আরেক মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের পক্ষে ভোটারদের প্রভাব বিস্তার, ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদ্বন্ধি মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খাঁন আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল আহসান খান বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারী আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আমিসহ ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তারা হলো বর্তমান মেয়র মতিয়ার রহমান তার স্ত্রী নুসরাত জাহান, ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদ, নাতি জামাতা কামাল মৃধা, তার সমর্থক জহিরুল ইসলাম খোকন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুহা ইফতেকার হাসান, জিল্লুর রহমান ও জেসিকা তারতিলা জুথি। এদের মধ্যে জেসিকা তারতিলা জুথি মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে টাকা দেয়ার প্রতিবাদ করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। জিল্লুর রহমান ছাড়া অপর ছয়জন প্রার্থী মেয়র মতিয়ার রহমানের পক্ষে কাজ করছেন। তাদের কোন পোষ্টার, ব্যানার ও প্রচারনা নেই। তারা মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থক হয়ে তার পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার,ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এছাড়াও তারা ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দিয়ে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার ও আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। তিনি আরো বলেন, ডামি প্রার্থী ইফতেকার হাসানকে গত ১মার্চ মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের পক্ষে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম তাকে ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন। মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে আরেক ডামী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ভোটার শহীদুল ইসলাম ফকিরকে ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনায় তাকে পুলিশ ডেকে এনে সতর্ক করেন। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না হলে শান্তিপুর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ বিঘিœত হবে। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।
মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমান বলেন, আমার পক্ষে কোন প্রার্থীরা কাজ করেন না। আমিই আমার নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছি।
বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসার আবদুল হাই আল হাদী বলেন, কোন ক্রমেই নির্বাচনী পরিবেশ বিঘিœত হয় তা মেনে নেয়া হবে না। যিনি আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করবেন তিনি যেই হন তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর