নেছারাবাদে শিক্ষকসহ ৪জনকে কুপিয়ে জখম, গ্রেফতার-১

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে শিক্ষকসহ ৪জনকে কুপিয়ে জখম, গ্রেফতার-১
মঙ্গলবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০২৪


নেছারাবাদে শিক্ষকসহ ৪জনকে কুপিয়ে জখম, গ্রেফতার-১

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

নেছারাবাদে জাহিদ হোসেন(৩৫) নামে এক প্রতিবেশি যুবকের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপ ও হাতুড়ির আঘাতে চারজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) খুব সকালে উপজেলার জগন্নাথকাঠি গ্রামের মৌলভী বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্য গুরুতর অবস্থায় সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মুনিরুল ইসলাম (৫০) ও তার স্ত্রী স্মৃতি (৩৫) দু’জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেওয়ার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাকি দু’জনকে নেছারাবাদ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ী পাঠানো হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনার পরপর পুলিশ অভিযুক্ত জাহিদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেছেন।

জানা যায়, অভিযুক্ত জাহিদসহ আহতরা সবাই একই বাড়ীর লোক। ঘটনার দিন জাহিদ ফজরের নামাযের পর শিক্ষক মুনিরের ঘরের চালে ডিল মারছিল। এসময় তারা ডাক চিৎকার দিলে জাহিদ উত্তেজিত হয়ে মুনিরের ঘরের জানালা ভেঙ্গে হাতে দা ও একটা হাতুড়ি নিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরের মধ্য মুনিরকে পেয়ে জাহিদ হাতের দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় মুনিরের স্ত্রী স্মৃতি তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে জাহিদ উত্তেজিত অবস্থায় তাকেও মাথার ভিবিন্ন জায়গায় কোপায় এক পর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে। ডাক চিৎকারে প্রতিবেশি ফুয়াদ ও তানজিল ইসলাম এগিয়ে গেলে তাদের দাও নিয়ে তাড়া করে। একপর্যায়ে জাহিদকে ধরে ফেললেও তারাও দায়ের কোপে জখম হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে নেছারাবাদ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আহত মুনিরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী স্মৃতিকে গুরুতর দেখে সাথে সাথে বরিশাল পাঠিয়ে দিয়েছেন।

আহত ফুয়াদ বলেন, মুনিরুল ইসলাম একজন শিক্ষক ও খুবই ঠান্ডা প্রকৃতির লোক। জাহিদ মাঝে মাধ্যে মুনিরকে ডিস্টাব করত। জাহিদ ঘটনার দিন খুব সকালে মুনিরের ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে মুনির সহ তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। আমি তাদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে জাহিদের দায়ের কোপে আমি সহ আমার ভাগিনা তানজিল আহত হয়েছি। এক পর্যায়ে জাহিদকে ধরে বেধে রাখি এবং পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে জাহিদকে থানায় নিয়ে গেছে। আমরা জাহিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

তানজিল বলেন, জাহিদ আমার বাবাকে মারতে গেলে আমি এবং মামা ধরে ফেলি ঐ সময় আমার মাথায়ও দায়ের কোপ লাগে মামারও মাথায় কোপ লাগে আমরা দু’জনেই আহত হই। পরে পুলিশ এসে জাহিদকে থানায় নিয়ে যায়।

নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) গোলাম সরোয়ার জানান, অপরাধি জাহিদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শুনেছি, আহত দু’জনের মধ্য শিক্ষক মুনির ও স্ত্রীর অবস্থা নাকি গুরুতর তাদের কে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে”।

 

 

 

আরএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৮:৩৪ ● ১০১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ