গোপালগঞ্জে রাতের অন্ধকারে স্কুলের গাছ কর্তণের অভিযোগ

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » গোপালগঞ্জে রাতের অন্ধকারে স্কুলের গাছ কর্তণের অভিযোগ
রবিবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩


গোপালগঞ্জে রাতের অন্ধকারে স্কুলের গাছ কর্তণের অভিযোগ

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জ সদরের সাতপাড় দীননাথ গয়ালী চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে রাতের অন্ধকারে লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে ও  বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শান্তনু বালা কৃষ্ণ ও সদস্য গৌতম বিশ্বসের বিরুদ্ধে।
পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যনকে ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে উল্টো চেয়ারম্যানের নামে চাঁদাদাবী অভিযোগ ও বিভিন্ন অপপ্রচার করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন সাতপাড় ইউপি চেয়ারম্যান প্রণব বিশ্বাস বাপি।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে সাতপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনে প্রণব বিশ্বাস বাপি আরো বলেন, রাতের অন্ধকারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্য বিদ্যালয়ের মূল্যবান মেহগুনি ও আকাশী গাছ কর্তণ করেন।এসময় স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়। একপর্যায় তারা বিষয়টি আমাকে জানায়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কাছে গাছে গাছ কাটার কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাই কিন্ত তারা আমাকে কোন অনুমতি পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানালে তিনি গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদে আমার জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন।
সেঅনুযয়ি গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদে এনে রাখি। একপর্যায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে দৌড়ঝাপ শুরু হয় অবৈধভাবে গাছ কাটার সাথে জড়িত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যসহ সংশিষ্টদের। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সাতপাড় বাজার কমিটির সভাপতি পালু বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার অপচেষ্টা করে। আমি এতে রাজি না হয়ায় তারা ষড়যন্ত্রমূল উল্টো আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের কাছে লিকিত অভিযোগ করে। এতে আমার সামাজিক মর্যাদা ও মানসম্মনের হানি হয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি ছাড়া গাছ কর্তণকারিদের বিরুরেদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।
তখন বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কারো মাধ্যমেই চেয়ারম্যান ম্যানেজ করতে না পেরে ক্ষুদ্ধ হয়ে উল্টো  চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেই চাঁদা দাবির অভিযোগ করে বসলেন ওই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শান্তনু বালা কৃষ্ণ।
সাতপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রনব বিশ্বাস বাপি বলেন, রাতের অন্ধকারে সাতপাড় দীননাথ গয়ালী চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) স্যারকে জানাই। ইউএনও স্যার আমাকে গাছগুলো আমার হেফাজতে রাখার  নির্দেশ দেন। পরে গ্রাম পুলিশ দিয়ে গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদে এনে রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন,  বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শান্তনু বালা  কৃষ্ণ আমাকে নিজে ও বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে গাছ কাটার বিষয়টি চাপা দেওয়া চেষ্টা করে।  আমাকে ঘুষ দিতে ব্যর্থ হয়ে আমার নামেই চাঁদাবাজির অভিযোগ করে বসলেন শান্তনু বালা কৃষ্ণ। অভিযোগ করার পরে আমার নামে বিভিন্ন অপপ্রচার করেছেন তিনি। আমি এই অপপ্রচারের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শানÍানু বালা কৃষ্ণ বলেন, আমরা রাতের বেলায় গাছ কাটি নাই। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় রেজুলেশন করে এ গাছ কাটা হয়েছে।এখানে কোন অনিয়ম করা হয়নি। বরং চেয়ারম্যান টাকা দাবী করায় আমি তাকে ওই টাকা দিতে ব্যর্থ হই। ফলে চেয়ারম্যান প্রণব বিশ্বাস গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে তার হেফাজতে রাখেন।
সাতপাড় দীনবন্ধু গয়ালী চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় ক্ষ্ণৃ বিশ্বাস বলেন, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য বিদ্যালয়ের কিছু গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেঅনুযায়ি আমরা কমিটির সভায় ওই গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চাঁদা চাওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।


এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৭:৪৯ ● ১৫৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ