দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দুমকিতে নির্মাণের ৬মাসেই এলজিইডির সড়ক ধ্বসে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক মেরামতে নেই কোন টিকসই উদ্যোগ। ক্রমাগত ভাঙ্গনে ওই এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের সাথে নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকার আমন ও রবি ফসলের  ক্ষতির শঙ্কায় উদ্বিগ্ন কৃষিজীবি পরিবার।
সরেজমিন পরিদর্শনে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের কচাবুনিয়া নদীর পশ্চিমপাড় নেছারিয়া মাদ্রাসা থেকে পুকুরজানা বাজার সড়কের মাঝামাঝি অন্তত ১০০মিটার পাকা রাস্তার প্রায় অর্ধেকাংশ নদীতে ভেঙে পড়ে এক বছর আগে। এখন বাকি অর্ধেকাংশেও ফাটল ধরেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর তীরে পাইলিং বা সাপোর্টিং না থাকায় সাড়ে ৩কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন সড়কটি মাত্র ছয় মাসেই ভেঙে পড়েছে। তবে বছর পাড় হলেও এখনো কোন টিকসই মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসিবুর রহমান বলেন, ঠিকাদার যেনতেনভাবে তড়িঘড়ি রাস্তার কার্পেটিং কাজ শেষ করলেও অনেক কাজ ফেলে রেখেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, যথাযথ পরিমাপ ঠিক না রাখাসহ নানা অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ায় কাজের গুণগতমান ঠিক নেই। তাছাড়া নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পাইল-সাপোর্ট না থাকায় জোয়ারের স্রোতে নিচের মাটি সরে যাওয়ায় সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তা ভেঙে একবার পানি ঢুকলে বসতঃঘর তলিয়ে যাওয়াসহ কৃষকদের সর্বনাশ হবে। একই বক্তব্য দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া গ্রামের রাজ্জাক ফকির, আবু কালামসহ অনেকের। পাঙ্গাশিয়া তেতুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস পিয়ারা বেগম জানান, নদীতে ভেঙে পড়া রাস্তা দিয়ে স্কুলের বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত আসতে যেতে হয়। আমাদের এসব শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ রক্ষায় ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি। আশাকরি তারা যত দ্রুত সম্ভব মেরামত কাজ শুরু করবেন।
এ বিষয়ে দুকি উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদ জগলুল ফারুক বলেন, এটি পানি উন্নয়ন বোর্ডো’র রাস্তা ভাঙন ঠেকাতে তারা হয়তো কোন ব্যবস্থা নিবেন এবং যেহেতু আমরা পাকাকরণ করেছি তাই সড়ক মেরামত কারার লক্ষে সামনে মেইনটেন্যান্স প্রকল্প থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে ।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনামিকা নজরুল বলেন, ভাঙন এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি। ওখানকার অবস্থা একদম ঝুকিপূর্ণ তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডি’র সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।

এমআর