পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীতে পেঁয়াজের ঝাঁজে অসহায় হয়ে পড়েছে ক্রেতা। শহর থেকে গ্রামীন জনপদের সকল বাজারে দেখা দিয়েছে পেঁয়াজের বড় ধরনের সংকট। খুচরা বাজারের কিছু সংখ্যক দোকানে খুব কম সংখ্যক পেঁয়াজ থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বড় সাইজের বিদেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। আর ছোট সাইজের দেশী পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছে এমন সংবাদে স্থানীয় বাজার সিন্ডিকেট পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়িয়ে দিয়েছে পেঁয়াজের দাম। এমন অভিযোগ ক্রেতারা সিন্ডিকেট ভাংগতে এবং কৃত্রিম সংকট বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায়। অপরদিকে মোকামে পেঁয়াজ নেই, পাইকাররা বিক্রি করছে চড়া দামে এমন অজুহাত স্থানীয় বাজারের খুরচা ও পাইকারী বিক্রেতাদের।
এদিকে বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসে দোকানদারদের সাথে বাদনুবাদে জড়িয়ে পড়েছেন অনেক ক্রেতা। তবে অধিকাংশ ক্রেতাই দীর্ঘশ^াস ফেলে চাহিদার বিপরীতে কম পেয়াঁজ কিনে বাড়ী ফিরেছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে গ্রামীন জনপদের ক্রেতারা। শহরের থেকে কেজি প্রতি ক্ষেত্র বিশেষ ২০-৩০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন সেখানকার খুরচা বিক্রেতারা। নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য আলু, সবজির পর পেঁয়াজের ঝাঁজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক ক্রেতা।
খুরচা বিক্রেতা ফিরোজ বলেন, শুক্রবার দিনও ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। শনিবার থেকে বরিশাল মোকামে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকা রাখছে প্রতি কেজি। চাহিদা মত পেঁয়াজও দিচ্ছেনা মোকাম থেকে। তিনি আরো জানান, ক্রেতার চাহিদার অর্ধেক পেঁয়াজ দিয়ে ক্রেতা ঠিক রাখতে হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতা শাহজালাল বলেন, দোকানে পেঁয়াজ না থাকায় ক্রেতারা অন্য মালামাল না কিনেই ফিরে যাচ্ছে পাশের দোকানে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতা নাহিদ বলেন, রোজা এলেই এমনিতে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যায়। এবার রোজার অনেক আগেই বেড়েছে পেয়াজের দাম। রোজায় এই মূল্য ৫’শ টাকায় গিয়ে ঠেকবে।
ক্রেতা সালাম বলেন, কোন দোকানে ১৬০-১৯০ আবা কোন দোকানে ২৩০-২৫০ টাকা কেজি চাচ্ছে। যে অবস্থা দাড়িয়েছে, পেঁয়াজ না খেয়ে ছোলা খেতে হবে। তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, সরকার আছে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে চোখ দেয়ার সময় নেই। এমনিতেই সরকার বাজার নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ।
ঝাল মুড়ি বিক্রেতা আ. রহমান বলেন, প্রতিদিন ৩ কেজি পেঁয়াজ প্রয়োজন। তিন দোকান ঘুরে দেড় কেজি কিনেছি। পিঁয়াজ ছাড়াই ছাল মুড়ি বিক্রি করতে হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পেঁয়াজের মূল্য কারসাজি এবং মওজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জেআর/এমআর