গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর গলাচিপায় নির্মাণের একবছর পর চালু হলো ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের সেবা কার্যক্রম। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ফিতা কেটে হাসপাতালটির সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল ও পটুয়াখালী জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ পরিচালক ডা. আ ফ ম আরাফাত হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক (সিসি) ও ডিস্ট্রিক্ট কনসালট্যান্ট ডা. মো. সামসুজ্জামান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস খান রানা, মেডিকেল অফিসার (মা ও শিশু স্বাস্থ্য - পরিবার পরিকল্পনা) ডা. মো. আতিকুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নূরউদ্দিন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী, সাংবাদিক ও স্থানীয় সেবা প্রত্যাশীরা।
এদিন সেবা কার্যক্রম চালু হলে স্থানীয় মা ও শিশুসহ একাধিক সেবা প্রত্যাশি চিকিৎসা নিতে আসেন হাসপাতালে। জানা গেছে, প্রসূতিমা ও নবজাতক শিশুদের চিকিৎসা সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডে ৫২ শতক জমির ওপর প্রায় ৫কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় সেবা বঞ্চিত ছিলো স্থানীয় বাসিন্দারা। সেবা কার্যক্রম চালু হওয়ায় এখন থেকে এলাকার মা ও শিশুদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে না। বাড়ির কাছে বসেই চিকিৎসা নিতে পারবেন তারা। মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে অন্য সব সরকারি হাসপাতালের ন্যায় সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন রোগীরা। এ হাসপাতালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর গর্ভবতী নারী ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হবে। গর্ভবতী নারী ও শিশুদের বিনা মূল্যে ঔষুধ ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হবে। ছুটির দিন ব্যাতিত বহির্বিভাগে প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। এ হাসপাতালের মাধ্যমে প্রায় লক্ষাধিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। নবনির্মিত হাসপাতাল ঘুরে দেখাযায় পরিবেশ খুব সুন্দর ও পরিপাটি। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তর হাসপাতালটিতে সেবা কার্যক্রম চালু করেছে। উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হলো।
এসডি/এমআর