আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে শাকুর মিয়া নামের এক বিজিবি সদস্য ইমারত নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমারত নির্মাণে নিষেধ করা সত্ত্বেও প্রভাবশালী বিজিবি সদস্য তা মানছেন না। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন ইউপি সদস্য ফারুক সরদার।
জানাগেছে, স্বাধীনতার পুর্বে তৎকালিন চেয়ারম্যান কামাল আহম্মেদ সেলিম তালুকদার ৯৪ শতাংশ জমি আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদে দান করেন। দীর্ঘ ৬০ বছর ওই জমিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করে জনগনকে সেবা দিয়ে আসছে। পুরাতন ভবন জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ২০০০ সালে দ্বিতল নতুন পরিষদ ভবন নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ওই ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে গত বরিবার আজিমপুর গ্রামের শাকুর নামের এক বিজিবি সদস্য জোরপুর্বক জমি দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করেন।এ ইমারত নির্মাণে ইউপি চেয়ারম্যান বোরহার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার ও ইউপি সদস্যরা নিষেধ করেন। কিন্তু বিজিবি সদস্য তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে পাকা ইমারত নির্মাণ করছেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত এ বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে জমি উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিজিবি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করছে। ইতিমধ্যে তিনি তিন পাশে বাউন্ডারী কাজ শেষ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, বিজিবি সদস্য শাকুর মিয়া জোরপুর্বক ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে ইমারত নির্মাণ করছেন। তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যান নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি তা মানছেন না।
স্থানীয় মনিরুল ইসলাম বলেন, শাকুর ইউনিয়ন পরিষদের জমির মধ্যে ইমারত নির্মাণ করছেন। চেয়ারম্যান নিষেধ করেছিল কিন্তু তিনি তা মানছেন না।
ইউপি সদস্য ফারুক সরদার বলেন, বিজিবি সদস্য শাকুর জোরপুর্বক পরিষদের জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি শুনছেন না।
বিজিবি সদস্য শাকুর মিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জমিতে ইমারত নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমার চাচা। তার নির্দেশনা মত কাজ করবো।
চুনাখালী ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, ওই জমিতে ইমারত নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, সরকারী জমি সরকার দেখভাল করবেন। এখানে আমার কিছুই করার নেই।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এমএইচকে/এমআর