গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরিশালের গৌরনদীতে মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে একটি কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৫ নেতার নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা অনেক নেতাকর্মীকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গৌরনদী থানায় একটি নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও পশ্চিম চন্দ্রহার গ্রামের রেমন তালুকদার কালু (৪৫) বাদি হয়ে এ নাশকতার মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মুকুল,, গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ সরোযার আলম, সদস্যসচিব জহির সাজ্জাদ হান্নান শরীফ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ জাকির শরীফ, সদস্য ফরিদ মিয়া, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইদুল আলম সেন্টু খান, বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মনির হাওলাদার, সদস্য সচিব মনির আকন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রুবেল গোমস্তা, যুগ্ম আহবায়ক আল-আমিন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মাহতাফ সরদার, যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল সরদার, উপজেলা বিএনপির সদস্য সাবেক ভিপি আনোয়ার হোসেন বাদল, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পান্না সরদার, আহসান হাবিব তালুকদার, শয়ন ফকির, রাজীব হাওলাদ্রা, জনি বেপারী, খলিল হাওলাদার, সাইফুল মীর, মোঃ বিপ্লব, মাকসুদ মৃধা, দেলোয়ার সরদার, যুবদল নেতা মিরাজ খান, আজাদ মৃধা (৪৫), ,মোঃ আতিক, সুমন বেপারী, হৃদয় বেপারীসহ অজ্ঞাতনামা অনেক নেতাকর্মী।
মাশলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার এসআই নাসির উদ্দিন জাানন, মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষনিক তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে শরিকল গ্রামে অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতা মিরাজ খানকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত মিরাজকে শুক্রবার দুপুরে বরিশাল সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর রাতে গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী বাটাজোর গ্রামের ক্রসফায়ারমোর নামকস্থানে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে মৌলভীবাজারগামী কাভার্ডভ্যান থামিয়ে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
এএসআর/এমআর