আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন গ্রামীণ হেরিংবন্ড (এইচবিবি) প্রকল্পের টেন্ডারে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেসার্স রানী এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধিকারী এম,এ রাসেল তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বিকেলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ তার। তিনি আরো অভিযোগ করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামাল হুসাইন দরপত্র থেকে কাগজপত্র সরিয়ে একটি পক্ষকে কাজ পাইয়ে দিতে এ অনিয়ম করেছেন।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর গ্রামীণ মাটির রাস্তা সমুহ টেকসইকরণের লক্ষে হেরিং বোন বন্ডকরণ (এইচবিবি) ২য় পর্র্যায় প্রকল্পের তিনটি প্যাকেজের দরপত্র আহবান করে। ৩০ অক্টোবর ছিল দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। ঠিকাদারগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই তারিখে দরপত্র জমা দেন। এতে তিনটি প্যাকেজের দরপত্রে ১৯৫ জন ঠিকাদার অংশ নেন। গত মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ওই দরপত্রের লটারী হয়। কিন্তু এ দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ করেন ঠিকাদাররা। অভিযোগ রয়েছে, কাজ পাইয়ে দিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন বিভিন্ন অভিযোগ এনে ১৭ জন ঠিকাদারের দরপত্র বাতিল করে দিয়েছেন। মেসার্স রানী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এম,এ রাসেলের অভিযোগ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন অন্য ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে তার দরপত্রের সাথে থাকা কাগজপত্র ছিড়ে ফেলে দরপত্র বাতিল করেছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তিনটি প্যাকেজের মধ্যের ১ নং প্যাকেজে দরপত্রের সঙ্গে দেয়া কাগজ ছিড়ে ফেলে বাতিল করে দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে ওই দরপত্র দুইবার অর্থ্যাৎ ১৬১ এবং ১৮২ নং তালিকার নাম অর্ন্তভুক্ত করেছেন। ২ নং প্যাকেজের সিএস ও ওপেনিং সিটে তার দরপত্র অর্šÍভুক্ত করেনি। ৩ নং প্যাকেজ কাগজপত্র নেই বলে বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন এভাবে অন্তত ১৭ জন ঠিকাদারের দরপত্র বিভিন্ন কারন দেখিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামাল হুসাইন বাতিল করেছেন। দ্রত তদন্ত করলে এর সত্যতা বেরিয়ে আসছে। এ ঘটনার তিনি মঙ্গলবার বিকেলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নি তার আরো অভিযোগ।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জিএম ইকফা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জিএম ওসমানী হাসান বলেন, গত ২০ বছর ধরে জিএম ইকফা এন্টার প্রাইজের লাইসেন্স দিয়ে দরপত্রে অংশ নিয়ে আসছি। কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কেন আমার দরপত্র বাতিল করেছেন তা আমি অবগত না? বিষয়টি খতিয়ে দেখলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর