বামনায় আমন ক্ষেতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ!

প্রথম পাতা » বরগুনা » বামনায় আমন ক্ষেতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ!
সোমবার ● ৬ নভেম্বর ২০২৩


বামনায় আমন ক্ষেতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ!

বামনা(বরগুনা)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার বামনা  উপজেলার গোলাঘাটা কড়ইতলা গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী খান পুত্র মোঃ শহিদুল ইসলামের আমন ক্ষেতে বিষাক্ত বিষ প্রয়োগ করে আমন ধানের ক্ষেতের   ব্যাপক ক্ষতি  সাধন করেছে। এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বামনা থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন। যার ডায়রী নং ৮০/২৩ তারিখ ৩নভেম্বর ২০২৩।
অভিযোগ সুত্রে জানায়ায় অভিযুক্তরা একই গ্রামের মৃত্যু আব্দুল হকের পুত্র বাচ্চু(৪৩), আঃ ওয়াহেদ জোমাদ্দারের পুত্র আবু জোমাদ্দার(৫০), মৃত্যু আঃ হাকিম জোমাদ্দারের পুত্র হানিফ জোমাদ্দার(৪৮), হানিফের পুত্র রিফাত(৩০) বিষাক্ত বিষের বোতল নিয়ে আমার আমন ধানের ক্ষেত্রের পাশে ঘোরাঘুরি করে এহনো অবস্থায় কতিপয় স্বাক্ষীরা দেখতে পেয়ে  শহীদুল ইসলামকে জানালে তিনি ৩১/১০/২০২৩ইং তারিখ সকালে অভিযুক্তদের নিকট আমার আমন ধানের ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করেছো কেন জিজ্ঞাসা করিলে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
অভিযোগকারী মোঃ শহীদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান গোলাঘাটা কড়ইতলা মৌজার ২৪৯নং খতিয়ানের ৫৬৬ ও ৭৪৩নং দাগে আমার বাবা ১.৪৯একর জমির মালিক। আমরা উক্ত জমি  যুগ যুগ ধরে  ভোগ দখল করে আসছি। উক্ত জমির কিছু অংশে আমরা গাছের বাগান ও কিছু অংশে ধান চাষ করে থাকি। উক্ত খতিয়ানে ৩.৬৭একর জমি অভিযুক্তরা মালিক। তারাও তাদের প্রাপ্য অংশ ভোগদখল করে আসছে। আমার বাবা ইংরেজী ১৯৮৯সালে মারা যান। আমার বাবার মৃত্যুর ও প্রায় ৩৩ বছর পর ২০২৩সালের প্রথম দিকে অভিযুক্তরা  পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে ০৮/০৬/১৯৬৬ইং তারিখে আমার বাবাকে দাতা দেখাইয়া ৪৪০৫নং  একখানা সাব কবলা দলিল বের করেন এবং জমি দাবী করেন। উক্ত দলিল খানা ভুয়া।  কারন তাদের দলিলে আমার বাবার সই এর সাথে মিল নেই এবং যে সমস্ত দাগ উল্লেখ করছে সেই দাগে  আমার বাবার কোন প্রাপ্যতা নাই। আমি উক্ত  ভুয়া দলিল খানা বাতিলের জন্য বরগুনা সহকারী জজ আদালতে মামলা করি। যার মামলা নং ১৮/২০২৩। এছাড়া বাইলোশনের জন্য ও একটি মামলা করি যার মামলা নং ০৫/২০২৩। অভিযুক্তরা দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রকৃতির লোক। তারা কোন আইন কানুন মানেনা। তারা আমার আমন ধানের খেত নষ্ট করেছে,  গাছ পালা  ভেঙ্গে ফেলছে   এবং সীমা প্রাচীর ও  কেটে ফেলেছে  বিধায় থানায় সাধারণ ডায়রী করেছি। তাদের হুমকি ধামকীতে আমি ভীত অবস্হায়  জীবনযাপন করতেছি। তারা যে কোন সময় তাআমার বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে।
অভিযুক্ত বাচ্চু জানান আমার বাপ-চাচারা শহিদুল ইসলামের বাবা মোঃ ওয়াজেদ আলীর নিকট থেকে ১৯৬৬সালে ১.০৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ক্রয়কৃত দলিলখানা আমরা ২০২৩সালে হাত পাই। হাতে  পেয়ে বাদীর নিকট জমির বুজ চাইলে তিনি দলিল ভুয়া বলে জমি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরবর্তীতে আমরা বরগুনার সহকারী জজ আদালতে বাটোয়ারা মামলা করি। যার মামলা নং ০১/২০২৩। আমরা তাদের আমন ধান ক্ষেত্রে কোন বিষ প্রয়োগ করি নাই।
বামনা থানার এ এস আই মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান উল্লেখিত জিডির প্রাথমিক তদন্তে কিছু সত্যতা পাওয়া গিয়াছে। অতি শিঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন বরগুনার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।


এইচআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৮:৩২ ● ১৩৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ