আমতলীতে রি-সেটেলমেন্টের জমি বন্দোবস্ত!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে রি-সেটেলমেন্টের জমি বন্দোবস্ত!
বৃহস্পতিবার ● ২ নভেম্বর ২০২৩


আমতলীতে রি-সেটেলমেন্টের জমি বন্দোবস্ত!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

আমতলী উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের সেরাজুল ইসলাম তালুকদার ও তার ভাই আতাউল্লাহ তালুকদারের রি-সেটেলমেন্টের জমি উপজেলা ভুমি অফিসের লোকজন শঠতামির আশ্রায় নিয়ে রাশিদা বেগম ও ফাতেমা বেগমকে বন্দোবস্ত দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি বন্দোবস্ত দেয়ার জমিদাতা ও বন্দোবস্ত পাওয়াদের দ্বন্দে ওই জমি অনাবাদি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত পুর্বক স্বচ্ছল দুই নারীর নামের বন্দোবস্থ বাতিলের দাবী জানিয়েছেন রি-সেটেলমেন্ট জমির মালিক সেরাজুল ও আতাউল্লাহ তালুকদার।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের মোক্তার হোসেন তালুকদার ১৯৭২-৭৩ সালে জেএল ২৮নং পাতাকাটা মৌজার ৪৫১ ও ৪৬৫ নং খতিয়ানের ৯.৪৬ একর জমি খাস খতিয়ানে দেন। পরে তার দুই ছেলে সেরাজুল ইসলাম তালুকদার ও আতাউল্লাহ তালুকদার ওই জমি রি-সেটেলন্টের জন্য আবেদন করেন। ১৯৭৩ সালের ১০ আগষ্ট ওই জমি সরকার তাদের নামে রি-সেটেলমেন্ট করে দেয়। অভিযোগ রয়েছে ভুমি অফিসের লোকজন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তথ্য গোপন রেখে ২০০৭ সালের ৩ আগষ্ট একই এলাকার স্বচ্ছল পরিবারের রাশিদা ও ফাতেমার নামে ওই জমি থেকে দুই একর জমি বন্দোবস্থ দেয়। কিন্তু ১৬ বছরে পেরিয়ে গেলেও ওই জমি তারা ভোগ দখলে যায়নি। প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার মদদে এ বছর আগষ্ট মাসে রাশিদা ওই জমি চাষাবাদে বাঁধা দেয়। এরপর বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। রাশিদার বাঁধার কারনে এক একর জমি অনাবাদি রয়েছে। রি-সেটেলমেন্ট জমির মালিক সেরাজুল ইসলাম তালুকদার ও আতাউল্লাহ তালুকদারের অভিযোগ ভুমি অফিসের লোকজন সঠতামির আশ্রয় নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তথ্য গোপন রেখে জমি বন্দোবস্থ দিয়েছেন। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে বন্দোবস্থ বাতিলের দাবী জানান তারা।
এ বিষয়ে সেরাজুল ইসলাম তালুকদার ও আতাউল্লাহ তালুকদার বলেন ,আমার বাবা মোক্তার হোসেন তালুকদার ৪৫১ ও ৪৬৫ নং খতিয়ানের ৯.৪৫ একর জমি খাস খতিয়ানে দেন। পরে আমরা দুই ভাই ওই জমি রি-সেটেলমেন্টের আবেদন করি। সরকার আমাদের নামে ওই জমি রি-সেটেলমেন্ট করে দেন। কিন্তু উপজেলা ভুমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী অসৎ উদ্দেশ্যে তথ্য গোপন করে ওই জমি বন্দোবস্থ দিয়েছেন। দ্রুত আমরা এর প্রতিকার দাবী করছি।
বন্দোবস্থ পাওয়া রাশিদা বেগম বলেন, ভুমি অফিস আমার নামে বন্দোবস্থ দিয়েছেন। তাই আমি ওই জমি তাদের চাষাবাদে বাঁধা দিয়েছি।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আবু জাহের বলেন, এ বিষয়টি অনেক পুরানো। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৮:৫৫ ● ৮১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ