আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউসুফ হোসেন বাবলার বিরুদ্ধে সৎ ভাই-বোনদের জমি জোরপুর্বক দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদ করায় সৎ ভাই বিলাল হোসেন ও তার চার বোনকে এসিড মেরে ঝলসে দেয়া ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। সোমবার দুপুরে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভাই বিল্লাল হোসেন ও তার বোনেরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিল্লাল হোসেন বলেন, তালতলী উপজেলার হেলেঞ্চাবাড়িয়া গ্রামের আমার পিতা নুর মোহাম্মদ ফকির দুই স্ত্রী, পাঁচ ছেলে ও পাঁচ কন্যা রেখে ১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে আমরা দুই ঘরের সন্তান ওয়ারিশপ্রাপ্ত হই। কিন্তু ওই সময়ে আমি ও আমার বোনরা ছোট ছিলাম। বাবার মৃত্যুর পরে আমার সৎ ভাই ইউসুফ হোসেন বাবলা আমাকেসহ পরিবারের সকলকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। গত ২৪ বছর ধরে তার ভয়ে আমরা বাড়ীর বাহিরে বসবাস করছি। এ বছর ৭ মার্চ আমরা বাবার সম্পত্তি সৎ ভাই ইউসুফ হোসেন বাবলার কাছে দাবী করি। তিনি আমাদের সম্পত্তি দিতে অস্বীকার করেন। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। তিনি সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানছেন না। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে আমতলী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। শুধু মামলা করেই খ্যান্ত হয়নি বাবলা। তিনি বর্তমানে আমাকে ও আমার চার বোনের পরিবারকে এডিস মেরে ঝলসে দেয়া ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ভোগ দখল করতে পারছি না আমরা। তার অব্যহত হুমকিতে আমার পালিয়ে বেড়াচ্ছি। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ১০ মার্চ তালতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি। কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। দ্রুত পুলিশ প্রশাসনকে বিএনপি নেতা ইউসুফ হোসেন বাবলাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন, বোন পারুল আকতার, কাজল বেগম, সুরমা আক্তার ও স্ত্রী মরিয়র বেগম। উল্লেখ বিএনপি নেতা বাবলার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় বিস্ফোরক, মংলা, আমতলী ও তালতলী থানায় মামলা রয়েছে।
বিল্লালের বড় বোন পারুল আকতার বলেন, সৎ ভাই ইউসুফ হোসেন বাবলা জমি দখলে নিয়েও শান্ত হয়নি, বর্তমানে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বাবার বাড়ীঘর থাকা সত্ত্বেও বাবলার ভয়ে বাড়ীতে যেতে পারছি না। বাবা মারা যাওয়ার পরে বাবলা আমার বৃদ্ধ মাসহ আমাদের বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে বাবলার শাস্তি দাবী করছি।
কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউসুফ হোসেন বাবলা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে হয়রানী করতেই তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
তালতলী থানার ওসি মোঃ শহীদুল ইসলাম খাঁন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর