আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মামলার করায় স্বামীর বদলে স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত স্ত্রী ওজুফাকে স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাত নয় টার দিকে আমতলী উপজেলার চন্দ্রা গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার চন্দ্রা গ্রামের নাশির সিপাইয়ের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই জয়নাল সিপাইয়ের ১৫ শতাংশ জমি বিরোধ চলে আসছে। নাশির সিপাইয়ের অভিযোগ এর জের ধরে বেশ কয়েকবার জয়নাল সিপাই ও তার লোকজন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৬ অক্টোবর নাশির সিপাই আমতলী নির্বাহী আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় জয়নাল সিপাই। এ মামলা তুলে নিতে কয়েকদিন ধরে চাপ সৃষ্টি করে জয়নাল সিপাই ও তার লোকজন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে শুক্রবার রাত নয়টার দিকে আল আমিন, জয়নাল সিপাই, মুজাম্মেল, জলিল সিপাই ও জব্বারসহ ৭-৮ জনে নাশির সিপাইয়ের ঘর ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে নাশির সিপাইকে না পেয়ে তারা তার স্ত্রী ওজুফা বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল করে হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
আহত নারীর স্বামী নাশির সিপাই বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে জয়নাল সিপাই বেশ কয়েকবার আমার ওপর আক্রমণ করেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মামলা করায় /ক্ষিপ্ত হয় জয়নাল সিপাই। তিনি আরো বলেন, আমাকে বেশ কয়েকবার মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় জয়নাল। আমি মামলা তুলে না নেয়ায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘর ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জয়নাল সিপাই বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। রাতের অন্ধকারে এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে আমার জানা নেই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার গোলাম রাব্বি বলেন, আহত নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর