চরফ্যাশনে দৃষ্টিনন্দন খাসমহল মসজিদ উদ্বোধন

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » চরফ্যাশনে দৃষ্টিনন্দন খাসমহল মসজিদ উদ্বোধন
শুক্রবার ● ২০ অক্টোবর ২০২৩


চরফ্যাশনে দৃষ্টিনন্দন খাসমহল মসজিদ উদ্বোধন

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম পরিবেশ বান্ধব “চরফ্যাশন কেন্দ্রীয় খাসমহল মসজিদ” এর শুভ উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি।
উদ্বোধনী দিনে চরফ্যাশন উপজেলার প্রায় সহ¯্রাাধিক মসজিদের ইমামসহ প্রায় ৫সহস্্রাধিক আলেম, ওলামা ও মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রায় ৬ শতাধিক মহিলা নামাজ আদায় করেন।
ভূগর্ভস্হ ফ্লোরসহ চারতলা বিশিষ্ট এই মসজিদের আয়তন
৫৩হাজার ২শত বর্গফুটের এই মসজিদে এক সাথে সাড়ে ৪ হাজার মুসল্লিদেও নামাজের সুব্যবস্হা রয়েছে। মহিলাদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ৫শত জন মহিলদের নামাজের সুব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদেও অভ্যন্তরে ইমাম মুয়াজ্জিন ও খাদেম গনের থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। একসাথে ২শতজনের ওযু, গোসল এবং টয়লেটের অত্যাধুনিক সুব্যবস্হা রয়েছে।

---
এটি বাংলাদেশে নির্মিত সর্বপ্রথম গম্বুজ মসজিদ। দিনের স্বচ্ছ আলোতে নামাজ পড়া যায়। ফলে দিনের বেলায় কোন বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন হয় না।
মসজিদের বাহিরে শ্বেত পাথরের দীর্ঘ লম্বা সুউচ্চ ধাপের সিঁড়ি যেন মুসল্লীদের মসজিদ পানে আগমনে অনায়াসে আকৃষ্ট করছে।
মসজিদের প্রতিটি তলা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অনবদ্য প্রয়াস অবাক করার মতো।
মসজিদের পাশে অবস্থিত জ্যাকব টাওয়ারের চুঁড়ায় লাগানো মাইকে যখন আজানের সুমধুর ধ্বনি শোনাযায়, তখন  দূরদুরান্তের মুসল্লীগনের মাঝে ধর্মীয় অনুভূতির আমেজে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মসজিদ পানে আসতে আকৃষ্ট করছে।
শৈল্পিক ও দৃস্টিনন্দন কারুকার্যের এই মসজিদ বাংলাদেশে বিরল। উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় সুউচ্চ “জ্যাকব টাওয়ার” এর পাশে অবস্থিত  এই মসজিদ।
পরিবেশ সুরক্ষা ও আবহাওয়া উপযোগী করে উপকূলীয় এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এই দৃস্টিনন্দন মসজিদটি। মসজিদের দেয়ালে সিরামিক ইটের নিপূন গাঁথূনীর মধ্য দিয়ে দিয়ে প্রবেশ করছে প্রকৃতির নির্মল বাতাস। বাংলাদেশের প্রথম গন্ডাস গম্বুজ মসজিদ এটি। কাঁচের গম্বুজ ভেদ করে দিনের আলো মসজিদের ভিতরে ছড়াচ্ছে। মসজিদের ভিতর- বাহিরে রয়েছে নান্দনিক রং বেরংয়ের এলইডি লাইটের আলোক রশ্মি। প্রকৃতি বান্ধব নির্মাণশৈলীর এই মসজিদ ধর্মপ্রান মানুষকে আরাম আয়াসে ইবাদতে আকৃস্ট করবে।
মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হতে টানা প্রায় ৬ বছর সময় লেগেছে।
মসজিদের বাহিরে সিরামিক ইটের গাঁথুনিতে সাজানো চত্বরটি প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশের খ্যাতিমান ডিজাইনার ভোলার কৃতিসন্তান স্থপতি কামরুজ্জামান লিটনের শিল্প সৌকর্যের অপরূপ স্থাপনা এটি।
চরফ্যাশন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসান বলেন, ২০১৮ সালে মসজিদের প্রথম নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মসজিদ নির্মাণে জাতীয় সংসদ ভবনে ব্যবহৃত  উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সাদা ফেয়ার ফেস সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদে সাদা ফেয়ার ফেস  পলেস্তার আবরন। যার স্থায়ীত্ব প্রায় শতবছর। নান্দনিক সৌন্দর্য্য বর্ধনে ফোয়ারা আর দৃস্টিনন্দন সজ্জিত ফুলের বাগান আর বিভিন্ন রংয়ের লাইটিং করা হয়েছে।
পৌর মেয়র মো. মোরশেদ বলেন, বাংলাদেশের  নান্দনিক মসজিদ এটি। প্রাকৃতিক পরিবেশে ধর্মপ্রান মুসল্লিরা  স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ পড়তে পারবেন। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, জেলা পরিষদ ও চরফ্যাশন পৌরসভা এবং সাংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের ব্যক্তিগত  অর্থায়নে মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
উদ্বোধন শেষে মসজিদ নির্মাণ ব্যবস্থাপনাকারী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি বলেন,  আমার জীবনে স্বপ্ন ছিল একটি দৃস্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণের। আজ আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া আদায় করছি।

 

 

 

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৫:০০ ● ২৯৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ