গৌরনদীতে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ!

প্রথম পাতা » বরিশাল » গৌরনদীতে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ!
শনিবার ● ১৪ অক্টোবর ২০২৩


গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম মোল্লার বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের ভাঙ্গা বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিলের প্রায় ১০ মন  লোহার অ্যাঙ্গেল ও পাইপ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।  এ নিয়ে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মাঝে  চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় কতিপয় সাংবাদিকসহ  প্রশাসনকে ম্যানেজ করার  অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে  অনিচ্ছুক ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা জানান, দক্ষিণ বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে  ভাঙ্গা বহু বেঞ্চ ও অনেক চেয়ার-টেবিলের   লোহার অ্যাঙ্গেল ও পাইপ মজুদ ছিল। গত ৬ মাস ধরে ওই বিদ্যালয়ে এসএমসির কমিটি না থাকার সুবাদে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম মোল্লা কোন টেন্ডার ছাড়াই   স্কুলের ভাঙ্গা  বেঞ্চ ও চেয়ার-টেবিলের লোহার অ্যাঙ্গেল ও পাইপ আশোকাঠি এলাকার মেসার্স মদিনা আয়রন ষ্টোরের মালিকের কাছে বিক্রি করেন।  গত ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে  প্রধান শিক্ষক হালিম মোল্লা স্কুলে এসে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আনিস  হাওলাদারের ভ্যানে করে ১৯৫ কেজি লোহার মালামাল নিয়ে আশোকাঠি এলাকায় ওই ভাঙ্গারির দোকানে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
মেসার্স মদিনা আয়রন ষ্টোরের মালিক মজিবর রহমান বেপারী বলেন, ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আনিস হাওলাদার ভ্যানে করে স্কুলের ভাঙ্গা  বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিলের লোহার অ্যাঙ্গেল ও পাইপ এনে আমার দোকানে বিক্রি করে গেছে।
ভ্যান চালক ও ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আনিস হাওলাদার বলেন,  প্রধান শিক্ষক হালিম মোল্লা  আমার ভ্যান ভাড়া করে  স্কুলের  লোহার অ্যাঙ্গেল ও পাইপ  ভ্যানে ভর্তি করে আশোকাঠি’র মজিবরের দোকানে নিয়ে বিক্রি করেছে। স্কুলের  লোহার মালামাল আমি খরিদ করি নাই। প্রধান শিক্ষক হালিম মোল্লাই স্কুলের  লোহার মালামাল ওই দোকানে নিয়ে বিক্রি করেছে।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বেপারী বলেন,  আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিÍিতহীন।
উপজেলা প্রাথমিক  শিক্ষা অফিসার ও টেন্ডার কমিটির সদস্য সচিব  তাছলিমা বেগম বলেন, টেন্ডার ছাড়া সরকারি এক কেজি মালামালও বিক্রি করার সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে   প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা টেন্ডাার কমিটির সভাপতি ও ইউএনও আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।  খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

 

এএসআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৭:১৯ ● ৭৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ