তালতলীতে মই বেয়ে কোটি টাকার সেতু পারাপার!

প্রথম পাতা » বরগুনা » তালতলীতে মই বেয়ে কোটি টাকার সেতু পারাপার!
বৃহস্পতিবার ● ১২ অক্টোবর ২০২৩


তালতলীতে মই বেয়ে কোটি টাকার সেতু পারাপার!

তালতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নামেশিপাড়া গ্রামের নিদ্রা খালের উপর প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুতে ওঠতে ব্যবহার করা হচ্ছে মই। মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও গত এক বছর ধরে দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ৩ গ্রামের  প্রায় ৫ হাজার মানুষ। নিরুপায় হয়ে গ্রামবাসী কাঠের মই দিয়ে সেতুটি পারাপার হচ্ছে।

তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নামেশিপাড়া গ্রামের নিদ্রা খালের উপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ মিটার প্রস্থের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা।ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ পায় তালতলী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মারুপ রায়হান তপু নামের ঠিকাদার। সেতুটির নির্মান কাজ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক বছর অতিবাহিত হলেও সেতু নির্মানের কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও াুবয় পাশের সংযোগ সড়ক নির্মিত  না হওয়ায় শুধুমাত্র মূল সেতুটি খালের উপর দাঁড়িয়ে আছে।

সংযোগ সড়ক নির্মান না হওয়ায় নামিশেপাড়া, লাউপাড়া ও নিন্দ্রা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচল করতে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হয়। নিরুপায় হয়ে তারা কাঠের তৈরি মই দিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছে। নর্মান করে সেতুতে উঠানামা করছেন। কিন্তু এই গাছের মই বেয়ে শিশু বৃদ্ধ এবং নারীরা চলাচল করতে পারছেন না। সংযোগ সড়ক নির্মান না করে সেতুটি এভাবে ফেলে রাখায় । এই সেতু পার হয়ে প্রতিদিন শতাধিক স্থানীয় শিক্ষার্থীরা লাউপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লাউপাড়া সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে  আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কাঠের মই বেয়ে উঠতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। বৃষ্টির সময় মইয়ের ধাপগুলো খুবই পিচ্ছিল অবস্থায় থাকে তখন পা ফসকে নীচে পড়ে যাওয়ায় ভয়ে শিক্ষার্থীরা  অনেক সময় স্কুলে যাওয়া বন্ধ রাখেন।

স্থানীয় বাসিন্দা কামাল বলেন, এটা সেতু না যেন মরন ফাঁদ। সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
আবু জাফর নামে অপর স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সেতুটি নির্মান করা হলেও দুই পাড়ের হাটার জন্য সংযোগ সড়ক এখনও হয়নি। এ জন্য অঅমরা এটি ব্যবহার করতে পারছিনা। নিরুপায় হয়ে গ্রামবাসী মই দিয়ে চলাচল করে।

সেতু নির্মাণের ঠিকাদার মারুফ রায়হান তপু বলেন, মুল সেতুর  নির্মান কাজ শেষ। এখন সংযোগ সড়কের কাজ বাকি আছে। সেটাও কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। তখন স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মহিবুল ইসলাম বলেন সেতুর কাজ শেষ হয়েছে তবে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত বিল দেওয়া হয়নি। সেতুর কাজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে তাগাদা দেয়া হচ্ছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই সেতুটির সংঙোগ সড়কসহ নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং স্থানীয় জনগণ উপকৃত হবে।

এসএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৪:১৫ ● ১৫৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ