সংবাদ প্রকাশের জেরতালতলীতে সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

প্রথম পাতা » বরগুনা » সংবাদ প্রকাশের জেরতালতলীতে সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
শুক্রবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৩


তালতলীতে সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলামের বিরুদ্ধে বরিশালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) বরিশাল সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ২০২৩ এর ২৩(১), ২৫(ক), ২৬(১), ২৯, ৩৩(১) ধারায় মামলাটি করা হয়। বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বন্দরগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হারুনের মেয়ে মোসাম্মৎ শিরিন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বরগুনা সদর থানার ওসিকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়।
জানাগেছে, বরিশালের আগলঝাড়া কোদালধোয়া  গ্রামের সুবাস বিশ্বাসের ছেলে ডাক্তার সুমন বিশ্বাস বরগুনা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ২০২২সালে যোগদান করেন। এরপর থেকে প্রতি শুক্রবার তালতলী উপজেলার নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্র্ইাভেটভাবে রোগীদের চিকিৎসা দিতেন। এ সুবাদে ওই ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের রিসিপশনের কর্মরত মোসাম্মৎ শিরিন নামে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর প্রেম ও বিয়ে। শেষ পর্যন্ত গর্ভপাত করে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ডাঃ সুমনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী র্যা ব-৮ অভিযোগ করে ওই নারী। ওই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন  ডাঃ সুমন ছদ্মবেশে ধর্মান্তরিত হয়ে মোসলমান হয়েছেন বলে তাকে জানান। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তাকে পটুয়াখালী নোটারি পাবলিকের  মাধ্যমে বিয়ে করেন। যেখানে নিজের নাম পরিচয় সুমন খন্দকার, পিতা মোঃ সেলিম মিয়া এবং ঠিকানা বরিশালের আগলঝোড়া দেখান এই চিকিৎসক। ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে এই বিয়ের হলফ নামায় আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে। এরপর বেশ কিছুদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান ওই দম্পতি। এর মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানতে পেরে ওই চিকিৎসক তাকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন।
অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এর কয়দিন পরই চিকিৎসক সুমনের আসল চেহারা সামনে আসে। নিজের এক উকিল বন্ধুকে দিয়ে নিজেকে মুসলিম দেখিয়ে ভুয়া নোটারী পাবলিক করে এই বিয়ে করেন ওই নারীকে জানান সুমন। এ ঘটনা নিয়ে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিক নাঈমের বিরুদ্ধে মামলা করছেন ওই নারী। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, ডাক্তার সুমন বিশ্বাসের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এ মামলার ১ নম্বর সাক্ষী সুমন বিশ্বাসের সম্মানহানি হয়েছে।
দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলামের বলেন, মোসাম্মৎ শিরিন ডাক্তার সুমনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী র্যা ব-৮ বরাবর অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগপত্র এবং ওই নারীর সরবরাহকৃত তথ্যন দিয়ে সংবাদ করা হয়েছে। এখন তিনিই তথ্য‌ দিয়ে তিনিই আবার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।
বরগুনা থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, নথিপত্র পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।


এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪০:৫০ ● ১১৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ