আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী-তালতলী সড়কের কচুপাত্রা নামক স্থানে বাস-ট্রাক আটকা আটকে ১১ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে ওই সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তিন কিলোমিটার যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন। শনিবার দুপুর ২ টার দিকে বাস-ট্রাক সরানো হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, তালতলী উপজেলার সাথে সারাদেশের যোগাযোগের একমাত্র আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক। ওই সড়কের কড়ইবাড়িয়া থেকে কচুপাত্রা ৫ কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশই খানাখন্দে ভরপুর। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাজারো খানাখন্দে পানি জমে যায়। ফলে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তিতে পরে চালকরা। শুক্রবার রাত তিনটার দিকে ওই খানাখন্দ সড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তালতলীগামী যমুনা লাইন পরিবহন ও বিপরীত দিক থেতে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক কচুপাত্রা নামক স্থানে গর্তে আটকে পড়ে। শনিবার সকালে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয়। ওইদিন দুপুরে ট্রাক থেকে মালামাল সরিয়ে ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘ ১১ ঘন্টা সড়কে বাস-ট্রাকআটকে থাকে। এতে সড়কের উভয় পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে উপজেলার সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে এ্যাম্বুলেন্সসহ সকল ধরনের যাত্রীরা যানবাহন।উপায় না পেয়ে যাত্রীরা বিকল্প পথে আমতলী, পটুয়াখালী ও ঢাকায় যায়।
শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখাগেছে, একটি মালবাহী ট্রাক ও যমুনা লাইন পরিবহন বাসটি সড়কের ভাঙা অংশে আটকে আছে। সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ট্রাকটি থেকে মালামাল সরাতে চেষ্টা করছে স্থানীয়রা।
ব্যবসায়ী নাশির মুন্সি বলেন, সড়কটি রয়েছে হাজারো গর্ত। ওই গর্তে পানি জমলেই চালকদের যানবাহন চালাতে সমস্যা হয়। এতে প্রায়ই গাড়ি উল্টে যায়, ঘটে বেশ ছোট বড় দুর্ঘটনা। গত তিন বছর ধরে এ দুরবস্থা চলছে। এ সড়কের এ অবস্থা দেখেও প্রশাসন ও স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাতে কচুপাত্রা নামক স্থানে ট্রাক ও বাসগাড়ী আটকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ট্রাক থেকে মালামাল সরিয়ে দুপুর ২টার দিকে বাস-ট্রাকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘ ১০ ঘন্টা পর রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। দ্রুত সড়কটি স্স্কংারের দাবী জানান তিনি।
তালতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী ইমরান হোসাইন রাসেল বলেন, পাঁচ কিলোমিটার সড়কের দরপত্র চলমান আছে। দরপত্র কার্যক্রম সম্পন্ন হলেই কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বড় বড় গর্তেসাময়িকভাবে ইট ও বালু ফেলে ঠিক করা হবে।
এমএইচকে/এমআর