ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের কলঙ্কিত তথাকথিত সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। তবে দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে জনগণই রক্ষা করবে। শনিবার বিকেলে গণফোরামের সভাপতি পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. কামাল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন কায়েম এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্যকে সুদৃঢ় ও জোরদার করতে হবে। জনগণ বর্তমান অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সচেষ্ট। এই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। গত নির্বাচনে বিএনপি-গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৮টি আসনে জিতেছে। এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্ট বলে আসছিল, তাদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন না। তবে গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে ফেলেন আওয়ামী লীগ থেকে এসে গণফোরামের রাজনীতি করে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। গণফোরামের আরেক নির্বাচিত মোকাব্বির খান সম্প্রতি শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালেও পরে তাকে আর তা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। বিএনপির নির্বাচিত ৬ সংসদ সদস্য শপথ নেবেন না বলেই জানিয়ে আসছে দলটি। গণফোরাম ও ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর শপথ নেওয়ায় ড. কামাল হোসেন বলেন, সুলতান মনসুরের সংসদ সদস্য পদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি-না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা চলছে। মোকাব্বির খানের বিষয়ে কামাল বলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান আগামীতে শপথ নিতেও পারেন, নাও নিতে পারেন। শপথ নেবেন কি-না, সেটা দলীয়ভাবে আলোচনাসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হবে। সবাই মিলে শপথের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলে ভালো। তবে আমরা এখনো শপথ না নেওয়ার পক্ষে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নেতা মফিজুল ইসলাম খান কামাল, এসএম আলতাফ হোসেন, মোকাব্বির খান, শান্তিপদ ঘোষ, তবারক হোসেইন, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ ও ম শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমেদ প্রমুখ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আ আমিন, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক। সভায় আগামি ২৭ এপ্রিল গণফোরামের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারিত হয়। সভাপতি পরিষদ সদস্যদের নেতৃত্বে কাউন্সিলের পূর্বেই জেলা সম্মেলন ও সফরসূচি সম্পন্ন করা হবে।