ডিজিটাল প্রযুক্তির সফলতানদ-নদী রক্ষায় স্কুল শিক্ষার্থীরাও এখন বেশি সচেতন

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » ডিজিটাল প্রযুক্তির সফলতানদ-নদী রক্ষায় স্কুল শিক্ষার্থীরাও এখন বেশি সচেতন
বুধবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩


নদ-নদী রক্ষায় স্কুল শিক্ষার্থীরাও এখন বেশি সচেতন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

দখল-দূষণ ভরাটসহ বিভিন্ন সমস্যায় ইলিশের অভয়াশ্রম আন্ধার মানিক নদী রক্ষায় বর্তমাণ প্রজন্ম আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদী তীরের খেপুপাড়া মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম ও নবম শ্রেণির ৮০ শিক্ষার্থীর কাছে নদী সংশ্লিষ্ট চারটি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়। এর থেকে সচেতনতামূলক বিভিন্ন ধরনের মতামত উঠে এসেছে। শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা বাড়ির পাশের নদীর নাম, তোমার জীবনে নদীর ভূমিকা, বর্তমান অবস্থা ও নদী রক্ষায় সুপারিশ। ৮০ জন শিক্ষার্থীর ৭৯ জনেই নদীর নাম সঠিক বলেছে। আন্ধার মানিক। শতকরা ৭৬ জনেই নদ-নদী রক্ষায় পুর্নাঙ্গ মতামত প্রকাশ করে। এসব শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা আগে নদী সম্পর্কে এতোটা জানত না। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারণে শিক্ষার্থীরা নদ-নদী, পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সম্পর্কে বিশদ জানতে পেরেছে।
নদীর ভূমিকার বিষয়ে ২২টি মতামত এসেছে, নদীতে মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহ হয়। ১৭ টি মতামত এসেছে, মৎস্য আহরনের উৎস। এর গুরুত্ব অপরিসীম বলেছে ১৫ জনে। মানুষের মনে প্রশান্তি জাগে মতামত ব্যক্ত করেছে আটটি, তিনজন বলেছে নদী প্রাকৃতিক সম্পদ। এছাড়া বলা হয়েছে নদী দিয়ে মানুষ উপকৃত হয়, পানি নিষ্কাশন হয়, নৌ-চলাচল, সেচ কাজে লাগে। এক একজন শিক্ষার্থী একাধিক মতামত দিয়েছে।
নদীর বর্তমান অবস্থার কথা জানতে চাইলে ৫৩টি মতামতে ময়লা আবর্জনার দূষণ বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। চর পড়ে ভরাট হওয়ার মতামত ব্যক্ত করে ২৮টি। এ ছাড়া ১৪টি মতামত এসেছে ¯্রােত কমে গেছে, মাছ মরে যাচ্ছে আটটি মতামত ও ভাঙ্গনে ক্ষতি হয় মতামত দেয় ১০টি।
নদী রক্ষায় সুপারিশ চাওয়া হয়েছিল এসব শিক্ষার্থীর কাছে। তারা নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার মতামত দেয় ৫৭টি। ৩৯টি মতামতে বলা হয়েছে খনন করার। ২১টি মতামত দেয়া হয় দূষণ থেকে রক্ষা করার। সচেতন হওয়ার মতামত এসেছে ১৯টি। নদীতে মৃত জীবজন্তু প্রাণি ফেলা বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে ১৬টি মতামতে। এছাড়া নদী তীরের জমি বন্দোবস্ত না দেয়া, তীরের গাছ না কাটা, নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া, নদী তীরের ডাস্টবিন স্থাপন, বালু তোলা বন্ধ করা, নদীকে বাঁচাতে হবেসহ বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ করেছে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। তবে ১৮ জন শিক্ষার্থী জনজীবনে নদীর ভূমিকার বিষয়ে কোন মতামত দেয়নি। নদী রক্ষায় সুপারিশ করেনি পাঁচ জনে। এসব শিক্ষার্থীরা নদী রক্ষায় নিজেদের ভূমিকারকথাও মৌখিকভাবে জানায়।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৬:২৬ ● ১২৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ