বাউফলে দু‘দিকে কার্পেটিং সড়কের মাঝে ১কি.মি. হাটুকাদায় জনদুর্ভোগ!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » বাউফলে দু‘দিকে কার্পেটিং সড়কের মাঝে ১কি.মি. হাটুকাদায় জনদুর্ভোগ!
বুধবার ● ৩০ আগস্ট ২০২৩


বাউফলে দু‘দিকে কার্পেটিং সড়কের মাঝে ১কি.মি. হাটুকাদায় জনদুর্ভোগ!

বাউফল (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর বাউফলের বগা ইউনিয়নের কৌখালী গ্রামের একটি সড়কের শুরু ও শেষে অংশ পাকা করণ করা হলেও মাঝের অংশে প্রায় ১কিলোমিটার  কাঁচা রয়ে গেছে। ফলে সড়কের সুফল ভোগ করতে পারছেননা গ্রামবাসী। বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা । সড়কের ওই কাঁচা অংশ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে তাদেরকে কাদা-পানি ভেঙ্গে যাতায়ত করতে হচ্ছে। এই অংশটুকু পাকা হলে স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাগব হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বগা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের   ধাউরাভাঙা কাঞ্চন চৌকিদারের দোকান থেকে কৌখালী বাজার হয়ে ফকির বাড়ি রাস্তার মাথা দিয়ে দক্ষিণ কৌখালী নিম্ন মাধ্যমিক ও সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় দক্ষিণ পাশ্বে মতলেব মৃধার দোকান পর্যন্ত ভায়া মৃত লতিফ হাওলাদারের বাড়ি হয়ে ইমান্দির বজার  পালেরডাঙ্গার রাস্তার মাথা পর্যন্ত এই সড়কটি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায়ভূক্ত। সড়কটির  আইডি নম্বর হচ্ছে ৫৭৮৩৮৪২০২। এই সড়কের শুরু ও শেষ দিকে পাকা করা হলেও মাঝের অংশে প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়নি। এতে স্থানীয়রা সড়কটির সুফল ভোগ করতে পারছেননা। এ সড়ক দিয়ে দক্ষিন কৌখালী সরকারী প্রাইমারী স্কুল ও নিন্ম  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ যাতায়ত করেন। বর্ষা মৌসুম এলেই সড়কটি কাচা অংশ  কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। কেন কোন কারণে সড়কের এই কাঁচা অংশটকু পাকা করণ করা হচ্ছেনা তা এলাকার মানুষ জানেনা। তবে সড়কটি পাকা করণের জন্য তারা দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা ধরেও কোন প্রতিকার পাননি।

স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক শিক্ষক আঃ খালেক শিকদার (৬৬) জানান, তার জন্মের পর থেকে জ্ঞান হওয়া পর্যন্ত  সড়কে এই অংশটুকু কাঁচা দেখছেন।  সড়কের মাঝের অংশটুকু পাকা হলে স্থানীয়রা স্বাছন্দে যাতায়ত করতে পারবেন। তিনি সড়কটি পাকা করণের দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  মাহমুদ হাসান বলেন, সড়কের মাঝের অংশটুকু কেন পাকা করা হচ্ছেনা তা আমি নিজেও জানিনা। তবে সড়কের ওই অংশটুকু পাকা করণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু প্রতিকার পাইনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান আহম্মেদকে তার মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসভি না করায় তার বক্তব্য জানাযায়নি।


এএস/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪০:৫৯ ● ১৭৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ