আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
কোচিং বানিজ্য টিকিয়ে রাখতে বিদ্যালয় শিক্ষকদের হাতে তৈরি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। ঘটনার সাথে জড়িত নয় শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা জড়িত শিক্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাাস্তি দাবী করেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে।
জানাগেছে, গত ২৩ আগষ্ট আমতলী উপজেলার ১৫৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। ওই পরীক্ষায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ক্লাস্টার ভিত্তিক প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নিচ্ছিল। এতে বিপাকে পড়ে কোচিং বানিজ্যে জড়িত আমতলী বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা। অভিযোগ রয়েছে ক্লাষ্টার ভিত্তিক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা না নিয়ে আমতলী বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা তাদের তৈরি করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়। মঙ্গলবার ইংরেজী পরীক্ষা চলাকালে এ বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে । খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম ঘটনাস্থলে সহকারী শিক্ষা অফিসার আল আমিনকে পাঠান। তিনি গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঘটনার সাথে জড়িত সহকারী শিক্ষক সুনীল কংস বনিক, সহকারী শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার, নাসিমা, ফাতেমা, লাভলী, কুলসুম, নাজমা, জোহরা ও নার্গিস নিরুকে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান উপজেলা শিক্ষা অফিসার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয় শিক্ষকদের কাছে যে, শিক্ষার্থীরা কোচিং করে তাদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য শিক্ষকরা তাদের নিজেদের তৈরি করা প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়েছেন এবং পরীক্ষার আগেই তারা শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বলে দিয়েছেন। এমন জঘন্য ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী জানান তারা।
আমতরী বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন খাঁন বিদ্যালয় শিক্ষকদের তৈরি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ক্লাষ্টার ভিত্তিক প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। তবে কেন নয় শিক্ষককে শোকজ করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম বলেন, কোচিং বানিজ্য টিকিয়ে রাখতে ক্লাষ্টার ভিত্তিক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা না নিয়ে আমতলী বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর