ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন পাঁচটি দপ্তর এবং ৬৪ জেলায় কর্মরত ১৭ হাজার ৫৭৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ১৭ হাজার ২০৮ জন তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেছেন। বাকি ৩৬৮ জন কর্মচারী বিভাগীয় মামলায় সাময়িক বরখাস্ত এবং দীর্ঘমেয়াদি ছুটিতে থাকার কারণে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে পারেননি বলে শনিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। সম্পদ বিবরণী দাখিল করায় মন্ত্রী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভূমি মন্ত্রী বলেন, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ -এত দ্রুত সময়ে কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব গ্রহণ তার একটি প্রমাণ, বলা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনিয়ম-দুর্নীতিতে নিরুৎসাহিত হবেন বলে আশা করছেন মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এখন থেকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের কর্মসূচি চলমান থাকবে। নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভূমি অফিস দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হবে। চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ছেলে জাবেদ বিগত সরকারে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় তার দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগ প্রশংসিত হয়, প্রায়ই আগাম ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করতেন তিনি। মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই ভূমি অফিসের দুর্নীতি দূর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্পদের হিসাব গ্রহণ ভূমিমন্ত্রীর প্রথম ৯০ দিনের নয়টি কর্মপরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম ছিল। বাকিগুলো হলো - জরুরি সেবা দিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে হট লাইন স্থাপন, দেশব্যাপী ভূমি সেবা সপ্তাহ পালন এবং ভূমি কর মেলা উদযাপন, ‘অনলাইনে খতিয়ান’ সেবা চালু করা, ই-নামজারি কার্যক্রম পুরোদমে চালু করা, সেবা-দাতাদের দক্ষ করতে ওয়ার্কশপ আয়োজন, দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অবহিত করা, ভূমি অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মসূচি, অন্যান্য ভূমি সেবা ডিজিটাইজড করার প্রক্রিয়া শুরু করা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অনলাইন খতিয়ান অবমুক্তকরণ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি পুরো ঢাকা জেলায় শতভাগ ই-নামজারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী। ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, কয়েক মাসের মধ্যেই সারা দেশে ই-নামজারি কার্যক্রম পুরো দমে চালু করা হবে। মন্ত্রীর স্বল্পমেয়াদি কর্মপরিকল্পনার অংশ প্রথম ৯০ দিনের অন্যান্য কার্যক্রমও বাস্তবায়নাধীন। এছাড়াও ভূমি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন পরিদপ্তরের (সাব রেজিস্ট্রার অফিস নিয়ন্ত্রক) উন্নয়ন কাজের সমন্বয় করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ মন্ত্রী গ্রহণ করেছেন।