পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরকে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বদলির আদেশ করা হয়েছে। আর ওই বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে রবিবার (২০ আগস্ট) মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ওই দিন সকালে
জেলা ইমাম সমিতি ও মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গন শিক্ষার শিক্ষক শিক্ষিকার ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধনে অংশনেয়ারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবী করেন। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ( ১৭ আগস্ট) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মো.
মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে জেলার উপ-পরিচালকের বদলির আদেশ করা হয়। এতে তাকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ইসলামিক মিশনে প্রোগ্রাম অফিসার হিসাবে যোগদানের আদেশ করা হয়। এর আগে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের দায়িত্বে থাকা কালে তার বিরুদ্ধে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়। দায়ের হওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত
দারুল আরকামের শিক্ষকদের নিয়োগ পুন: বহালের সাক্ষাৎকার গ্রহনে নিয়োগ
বোর্ডের জন্য সরকারীভাবে খরচের বরাদ্দ থাকলেও প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে
৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেন। ওই সব শিক্ষকদের বকেয়া বেতন পাইয়ে দেওয়ার
জন্য প্রতি শিক্ষকদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার অগ্রিম চেক নেন। যা পরবর্তীতে গত ২০ জুন তাদের ব্যাংক একাউন্টে আসা বকেয়া বেতন-ভাতার টাকা থেকে তিনি উত্তোলন করেন। এ ছাড়া শিক্ষকদের দুই দিনের প্রশিক্ষনের জন্য বরাদ্দকৃত ১৪৫০ টাকা থাকলেও তাদের ৬৫০ টাকা করে প্রদান করে পুরো ভাতার টাকা গ্রহন হিসাবে স্বাক্ষর নেন। জেলার ১৪ টি মাদরাসা সংস্কার ও বিবিধ
খাতে ব্যায়ের জন্য প্রতি মাদরাসা জন্য আসা ৩৪ হাজার ৩৩৯টাকা বরাদ্দ থাকলেও পুরো টাকার স্বাক্ষর রেখে ২৪ হাজার ৪শত টাকা করে প্রদান করেন। পরে ওই টাকা থেকেও আবার ব্যাক্তিগত খরচ দেখিয়ে প্রতি মাদরাসা থেকে ৪
হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে রেখে দেন।
অভিযোগকারী শিক্ষকরা জানান, তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি অন্যান্য শিক্ষকদের ডেকে তাদের চাপ দিয়ে তার পক্ষে সাফাই গেয়ে মহা-পরিচালকের বরাবরে আবেদন পত্রে গত ১৪ আগস্ট স্বাক্ষর গ্রহন করেন। আর ওই সব কাজে সহযোগী হিসাবে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত জেলার নেছারাবাদ উপজেলার নুরুল হুদা নামের এক শিক্ষক সহ দুই শিক্ষককে ব্যাবহার
করছেন। তারা আরো জানান, তার বদলির আদেশ ঠেকাতে শাসক দলের প্রভাবশালীদের
কাছে ঘুরছেন। তাদের পরামর্শে শিক্ষকদের চাপ দিয়ে ওই মানববন্ধনের অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এর আগে তিনি ভোলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালকের দায়িত্ব পালন কালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলমান
রয়েছে।
এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আরএইচএম/এমআর