আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ দু’গ্রুপে পৃথক পৃথকভাবে পালন করেছেন। এতে তৃণমুল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত তারা এ দ্বন্ধ নিরসনের দাবী জানিয়েছেন।
জানাগেছে, গত ৩ বছর ধরেই আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ শীর্ষ নেতাকর্মীদের মধ্যে দলীয় কোন্দল বিরাজ করছে। গত বছর ৩০ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে কোন্দল প্রকাশ্যে রুপ নেয়। এরপর থেকে দুই গ্রুপে আলাদাভাবে কর্মসুচী পালন করে আসছে। মঙ্গলবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস দুই গ্রুপ আলাদা আলাদাভাবে পালন করেছে। এতে এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জিএম ওসমানী হাসান। দুই গ্রুপই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্প স্তবক অর্পণ, শোক র্যালী ও দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা করেছে। দলীয় কার্যালয়ে আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা সভায় এক গ্রুপের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিয়ার রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. এমএ কাদের মিয়া, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার, রফিকুল ইসলাম রিপন, অ্যাড. এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি, ফরিদ উদ্দিন মালাকার, কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, আব্দুস সোবাহান লিটন, তরিকুল ইসলাম জুয়েল, নজরুল ইসলাম মৃধা, অশোক মজুমদার প্রমুখ।
অন্য গ্রুপের সভাপতিত্ব করেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান। উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি এসএম শাহজাহান কবির, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু, নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি, সাবেক পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাড. একেএম বাহাদুর শাহ, গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি অ্যাড,নুরুল ইসলাম মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী সামসুল হক,সাবেক সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন, পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা, উপজেলা যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান জাহিদ, কেএম তানজিল, ছাত্রলীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মতিন খাঁন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি গাজী জুয়েল প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন তৃণমুল নেতাকর্মী বলেন, দুই গ্রুপের প্রকাশ্য কোন্দলে তৃণমুল নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পরেছে। এতে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম থুবরে পরেছে। দ্রুত সাংগঠনিকভাবে এ দ্বন্ধ নিরসন হওয়ার দাবী জানান তারা।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, দলে কোন কোন্দল নেই। যারা শোক দিবসের আলাদা কর্মসুচী পালন করেছে তারাও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী।
সাবেক আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান দলীয় কোন্দলের কথা অস্বীকার করে বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশনা মোতাবেক দলীয় কর্মসুচী পালন করেছি।
এমএইচকে/এমআর