আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সোমবাড়ীরা বাজার সংলগ্ন চরকগাছিয়া খালে ব্রীজ নির্মাণের দুই বছরেও এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করেনি ঠিকাদার আমিন হোসেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে ওই এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা নিজেদের অর্থায়নে এ্যাপ্রোচ সড়কে ব্লক দিয়ে চলাচলা করছেন। দ্রুত এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
জানাগেছে, উপজেলার সোমবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন চরকগাছিয়া খালে এক কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২০১৯-২০ অর্থ বছরে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের দরপত্র আহবান করে। ওই ব্রীজের কাজ পায় বরিশালের আমির কনাসক্টশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালে মুল ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ব্রীজ নির্মাণের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার আমির হোসেন এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করেনি। এতে ওই ব্রীজ দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বেশ সমস্যা হচ্ছে। উপায় না পেয়ে স্থানীয়রা নিজেদের অর্থায়নে গত এপ্রিল মাসে এ্যাপ্রোচ সড়কে ব্লক দিয়ে চলাচল করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার আমিন হোসেন গাফলতি করে কাজ ফেলে রেখেছেন। এতে এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের দাবী জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ব্রীজের দুই পাশের এ্যাপ্রোচ সড়কে নির্মাণ করা হয়নি। স্থানীয়রা এ্যাপ্রোচ সড়কে ব্লক দিয়ে চলাচল করছেন।
স্থানীয় মাসুম ও ইব্রাহিম খলিল বলেন, ব্রীজ নির্মাণ কাজ দুই বছর আগে শেষ হলেও ঠিকাদার এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করেনি। এতে এলাকার মানুষের চলাচলে বেশ সমস্যা হচ্ছে। তারা আরো বলেন, গত এপ্রিল মাসে স্থানীয়দের অর্থায়নে এ্যাপ্রোচ সড়কে ব্লক দিয়ে চলাচল করছি।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা বলেন, ঠিকাদার আমির হোসেনকে বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি আমলে নিচ্ছেন না। এ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
ঠিকাদার আমিন হোসেন এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ না করার কথা স্বীকার করে বলেন, এ্যাপ্রোচ সড়কের ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় কাজ করতে পারিনি। কিছুদিন পুর্বে এ্যাপ্রোচের ডিজাইন অনুমোদন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রজেক্ট পরিচালক ব্রীজ পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে। তিনি এসে গেলেই কাজ শুরু করবো।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ওই ব্রীজের এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করতে ঠিকাদারকে বলেছি। দ্রুত কাজ না করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জী বলেন, ওই ব্রীজের কাজ বাতিলের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারকে কোন টাকা ছাড় দেয়া হয়নি।
এমএইচকে/এমআর