গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গোপালগঞ্জে কোটালিপাড়া উপজেলার ৭৩ নং কলাবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবসিন্ধু গাইনের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির নর্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাকিতে ফরম বিক্রি ও প্রকৃত প্রার্থীকে ভুল বুঝিয়ে মনোনয়ন প্রত্যার করা’সহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বাজেটের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
স্কুলের স্লিপের টাকা ব্যায়ে এলামেলো দেখায় রেজুলেশন খাতায়। রেজুলেশনে আলমারী মেরামতের জন্য ৫ হাজার টাকা ব্যায় দেখালেও তিনি নতুন আলমারী ১৪ হাজার ক্রয়ের রশিদ দেখায়। বাকি টাকা কোথা থেকে দিবেন বললে ক্ষয়রাত করে দেন ও স্কুল চালান বলে অভিমত করেন প্রধান শিক্ষক ভবসিন্ধু গাইন।
এমন ঘটনায় ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রী অভিভাবকদের মাঝে আলোচনা সমোলচনা সৃষ্টি হয়েছে।
অভিভাবক সদস্য প্রার্থী হৃদয় ওঝা অভিযোগ করে বলেন, আসন্ন ৭৩ নং কলাবাড়ি সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক নির্বাচনে আমি সদস্য প্রার্থী ছিলাম। আইন বিধি মেনে ফরম ক্রয় ও নির্বাচনী ফি প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রদান করি। আমি ব্যাতিত অন্য কেউ ওই স্কুলের ফরম ক্রয় করেনি। আমাকে অন্য প্রর্থীরা ফরম ক্রয় করেছে বলে প্রার্থীদের আতাত করে আমাকে ভুল বুঝিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করায়। পরে জানতে পারি ওই স্কুলের অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়ন ফরমই কিনে নাই। তাদের কাছে বাকিতে ফরম বিক্রী করে প্রধান শিক্ষক ভবসিন্ধু গাইন।
তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক ওই স্কুলের স্লিপের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য তার মনপূর্ত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে। স্কুলের শিক্ষা ব্যাবস্থা ধংশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই প্রধান শিক্ষক ভবসিন্ধু গাইনতে প্রত্যাহার করার দরকার।
নির্বাচনের ফরম বাকিতে বিক্রির কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক ভবসিন্ধু গাইন বলেন, মানবিক দিক থেকে তাদের কাছে আমি ফরম বাকিতে বিক্রী করছি। অভিভাবকরা সমর্থন করে এই নতুন ম্যানেজিং কমিটি সিলেকশন করে।
স্লিপের টাকা আত্মসাতের ব্যাপরে অস্বীকার করে তিনি বলেন, সরকার স্লিপের জন্য যে টাকা দেয় সেই টাকায় স্কুল চলে না। আমি আরও ক্ষয়রাত করে স্কুল চালাই। সরকারের কাছে স্লিপের টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেন মিডিয়ার মাধ্যমে।
এব্যাপারে কোটালিপাড়া উপজেলাশিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের বিষয়ে আমার সহকারী কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকেন, তাদের কাজ থেকে জেনে বলতে হবে। অনেক সময় বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকা হয় না । তখন এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি ও দাতা সদস্যদের কাছে অনুদান নিতে পারেন। সেটা ক্ষয়তার বলা প্রধান শিক্ষকের বলা ঠিক হয়নি।
এইচবি/এমআর