আমতলীতে অপহরণের মামলা করায় স্কুলছাত্রীর বাবাকে কুপিয়ে জখম!
প্রথম পাতা »
বরগুনা »
আমতলীতে অপহরণের মামলা করায় স্কুলছাত্রীর বাবাকে কুপিয়ে জখম!
আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
স্কুল ছাত্রী অপহরণ মামলার বাদী ছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমান হাওলাদারকে (৫৫) মামলার প্রধান আসামী তামিমের (২২) বাবা মিজানুর রহমান মিয়া (৪৫) ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মিজানুর রহমান হাওলাদারকে স্বজনরা উদ্ধার করে সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার উত্তর তারিকাটা গ্রামে শনিবার দুপুরে।
জানাগেছে, উপজেলার মধ্য তারিকাটা গ্রামের মিজানুর রহমান হাওলাদারের দশম শ্রেনীর স্কুল পড়–য়া কন্যাকে মধ্য আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামে মিজানুর রহমান মিয়ার বখাটে ছেলে তামিম ও তার সহযোগীরা গত ১৮ জুন অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমান হাওলাদার ২০ জুন তামিমকে প্রধান আসামী করে চার জনের নামে থানায় অপহরণ মামলা করে। অপহরণ মামলা করায় ক্ষুব্ধ হন বখাটে তামিমের বাবা মিজানর রহমান মিয়া। অভিযোগ রয়েছে মামলার পর থেকেই বখাটে তামিমের বাবা মিজানুর রহমান মেয়ের বাবা মামলার বাদী মিজানুর রহমান হাওলাদারকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু এতে রাজি হয়নি মেয়ের বাবা। শনিবার দুপুরে স্কুল ছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমান হাওলাদার পানের বরজ থেকে বাড়ী ফিরছিল। এ সময় অপহরণ মামলার প্রধান আসামী তামিমের বাবা মিজানুর রহমান ও তার ৭-৮ সহযোগী তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তার ডাক চিৎকারে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ লুনা বিনতে হক তাকে সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই মিজানুর রহমান হাওলাদারকে তামিমের বাবা মিজানুর রহমান মিয়া ও তার ৭-৮ সহযোগী ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে মারধর করছে।
আহত মিজানুর রহমান হাওলাদারের ভাই জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, আমার ভাইয়ের মেয়েকে মিজানুর রহমান মিয়ার বখাটে ছেলে তামিম অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার ভাই তামিমকে প্রধান আসামী করে থানায় চারজরে নামে অপহলণ মামলা করেছে। এ মামলার পর থেকেই তামিমের বাবা আমার ভাইকে মামলা তুলে নিয়ে চায় দেয়। কিন্তু এ মামলাা তুলে না নেয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা আমার ভাইকে কুপিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অপহরণ মামলার প্রধান আসামী তামিমের বাবা মিজানুর রহমান মিয়া মুঠোফোনে (০১৭০৩৪০৯৪৫৬) বারবার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, আহত মিজানুর রহমানের মাথায় ধারালে অস্ত্রের আঘাত ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৬:৫১ ●
১০৭ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)