বামনা( বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার বামনা উপজেলায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বরাদ্দ দেওয়া গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষনের(টিআর)৯০ লাখ টাকা ও গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা/কাবিটা) প্রকল্পের ৩০০ মে.টন চাল বিভিন্ন ভৌতিক প্রকল্প তৈরী করে আত্মসাৎ করা হয়ে ছিলো। গত ৪ জুলাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বামনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করার পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। সংবাদ সম্মেলনে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও পিআইও দপ্তরের একজন কর্মচারীকে অভিযুক্ত করেন।
ঘটনার ১৩ দিন পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রাণ শাখা থেকে ৩ সদস্যের তদন্ত টীম বামনায় আসেন। এসময় তারা ভৌতিক প্রকল্পের ৩০০ মে. টন চালের প্রকল্প এলাকার খোজ খবর নেন এবং গত ৫ জুলাই বিভিন্ন দৈনিকে পত্রিকায় প্রকাশিত টিআর কাবিখার বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ শিরোনামের সংবাদের সূত্রধরে বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) ফয়সাল আহম্মেদ, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) ফয়সাল জানান, আমরা ঘটনার তদন্ত করে আসছি। দু একদিনের মধ্যে আমাদের প্রতিবেদন জমাদিবো।
জানা গেছে,বামনা উপজেলার জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয় থেকে ৪০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে টিআর এর ৯০ লাখ টাকা ও তিনটি কাবিখা প্রকল্পের অনুকুলে ৩০০ মে.টন চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়। পরে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ত্রান শাখা থেকে ১৪জুন বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুকুলে উপ-বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ওই দুটি বরাদ্দ আত্মসাতের চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্টরা।
এঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ও পিআইও অফিসের কমচারী মাহফুজকে অভিযুক্ত করে সংবাদ সম্মেলন করেন। গত ৫ জুলাই ওই সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। ওইদিনই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রাণ শাখা থেকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে টিআর ও কাবিখা বরাদ্দের আত্মসাৎকৃত টাকা থেকে ১ কোটি ২লাখ ৫০ হাজার টাকা ইউএনও এবং পিআইওর যৌথ ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার রাতে টিআর এর ৪০টি প্রকল্পের ১০জন প্রকল্প কমিটির সভাপতির সাথে বৈঠক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদার। টিআর এর ৯০ লাখ টাকা থেকে ইউএনওর ব্যাংক হিনাবে জমা করা হয়েছে মাত্র ৪৫ লাখ টাকা। বাকি ৪৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে প্রকল্প কমিটির সভাপতিদের নির্দেশ দেন ইউএনও।
বাামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদার বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। বাকী টাকা তিন কর্মদিবসের মধ্যে ফেরত দিতে কমিটির সভাপতিদের নির্দেশ দিয়েছি।
এইচআর/এমআর